বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের বিবৃতি

১৮ নভেম্বর, ২০২৫ | ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

“মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাজানো, ভিত্তিহীন ও প্রহসনমূলক ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায় ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান” আমরা, দেশের বিভিন্ন সময়ে গৌরবময় দায়িত্ব পালন করা সাবেক ছাত্রনেতারা, আজ গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে জানাচ্ছি যে বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত আজকের রায় আমাদের কাছে সম্পূর্ণরূপে সাজানো, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়। এই রায় ন্যায়বিচারকে উপহাস করা, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করা এবং গণতন্ত্রকে বিপথগামী করার নগ্ন প্রচেষ্টা। আমরা দৃঢ় কণ্ঠে ও সর্বসম্মতভাবে এই অন্যায়, অবিচার ও অপতৎপরতাপূর্ণ রায় প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই রায় কোনো বিচারের অংশ নয়; এটি ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তির প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতির পুনরুত্থান। যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা আজ আবার নতুন চেহারায়, নতুন কৌশলে মাঠে নেমেছে। তাদের লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করা, উন্নয়ন থামিয়ে দেওয়া এবং জাতিকে আবারও অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া। আজকের রায় সেই নীলনকশারই সাম্প্রতিকতম সংস্করণ। এই পরিস্থিতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় ১৯৭১ সালের সেই বিভীষিকাময় ডিসেম্বরকে, যখন পাকিস্তানের মিয়াঁওয়ালির কারাগারে বন্দী বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সামরিক গোপন আদালত মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিল। নির্জন সেলে তাঁর সামনে খোঁড়া হয়েছিল কবর, যেনো বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে চিরতরে দাফন করার প্রস্তুতি। কিন্তু ইতিহাসের অমোঘ শক্তি, মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা সে ঘৃণ্য পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দেয়। ইতিহাস তখন যেমন পরাজিত ষড়যন্ত্রের মুখোশ তুলে দিয়েছিল, আজও সেই ইতিহাস একই সত্য উচ্চারণ করছে, যে শক্তি জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, সেই অপশক্তি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হবেই। আজকের এই প্রহসনমূলক রায় আমাদের সেই রক্তাক্ত অতীতের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। মনে করিয়ে দেয়—স্বাধীনতাবিরোধী চক্র কখনো নিষ্ক্রিয় ছিল না; তারা এখনও সক্রিয়, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ জানে উন্নয়নের রুপকার শেখ হাসিনা, গণতন্ত্র রক্ষার কারিগর শেখ হাসিনা, আর কারা অসীম অন্ধকারকে ফিরিয়ে আনতে চায়! জননেত্রী শেখ হাসিনা শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানে এই জাতির স্বাধীনতা, মর্যাদা ও অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমরা আইনি ও গণতান্ত্রিক পথেই এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো, দেশপ্রেমিক জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সত্য, ন্যায় ও বিজয়ের পথকে সুদৃঢ় করবো। এই লড়াই শুধু একজন নেত্রীর নয়, এটি ত্রিশ লাখ শহিদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এটি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অম্লান রাখার লড়াই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যারা ইতিহাসের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, তারা ইতিহাসেই পরাজিত হয়। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির পরাজয় আবারও অবশ্যম্ভাবী। বাংলাদেশ ছাত্রলীগে সাবেক সাধারণ সম্পাদক- অসিম কুমার উকিল সাবেক সভাপতি- মাঈনউদ্দিন হাসান চৌধুরী। সাবেক সাধারণ সম্পাদক - ইকবালুর রহিম। সাবেক সভাপতি- একে এম এনামুল হক শামীম, সাবেক সভাপতি- বাহাদুর বেপারী সাবেক সভাপতি- লিয়াকত সিকদার সাবেক সাধারণ সম্পাদক- নজরুল ইসলাম বাবু। সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি- মারুফা আক্তার পপি সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর সাবেক সভাপতি- মাহমুদ হাসান রিপন সাবেক সাধারণ সম্পাদক- মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন। সাবেক সভাপতি- বদিউজ্জামন সোহাগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক- সিদ্দিকি নাজমুল আলম, সাবেক সভাপতি- সাইফুর রহমান সোহাগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক-এসএম জাকির হোসাইন, সাবেক সভাপতি-রেজেওয়ানুল হক শোভন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক-গোলাম রব্বানি সাবেক সভাপতি-আল নাহিয়ান খান জয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক-লেখক ভট্টাচার্য । জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ।