প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রায় ‘ক্যাঙ্গারু কোর্টের প্রহসন’, প্রত্যাখ্যান ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের

১৭ নভেম্বর, ২০২৫ | ১১:০৫ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত একটি রায়কে ‘সাজানো, ভিত্তিহীন, পূর্বনির্ধারিত ও প্রহসনমূলক ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায়’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তা সর্বসম্মতভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ। শনিবার (উদাহরণস্বরূপ তারিখ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এই রায়কে ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তির রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং দেশের গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করার অপচেষ্টা বলে অভিহিত করেন। বিবৃতিতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা বলেন, “আমরা, দেশের বিভিন্ন সময়ে গৌরবময় দায়িত্ব পালন করা সাবেক ছাত্রনেতারা, আজ গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত আজকের রায় আমাদের কাছে সম্পূর্ণরূপে সাজানো, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক প্রহসন ছাড়া কিছুই নয়।” তারা আরও বলেন, “এই রায় কোনো বিচারের অংশ নয়; এটি ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তির প্রতিশোধপরায়ণ রাজনীতির পুনরুত্থান। যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, তারা আজ আবার নতুন চেহারায়, নতুন কৌশলে মাঠে নেমেছে। তাদের লক্ষ্য একটাই, বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করা, উন্নয়ন থামিয়ে দেওয়া এবং জাতিকে আবারও অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া।” বিবৃতিতে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের মিয়াঁওয়ালি কারাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গোপন বিচারের স্মৃতিচারণ করে বলা হয়, “এই পরিস্থিতি আমাদের মনে করিয়ে দেয় ১৯৭১ সালের সেই বিভীষিকাময় ডিসেম্বরকে, যখন পাকিস্তানের মিয়াঁওয়ালির কারাগারে বন্দী বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে সামরিক গোপন আদালত মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিল। নির্জন সেলে তাঁর সামনে খোঁড়া হয়েছিল কবর। কিন্তু ইতিহাসের অমোঘ শক্তি সে ঘৃণ্য পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করে দেয়।” সাবেক ছাত্রনেতারা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মানে এই জাতির স্বাধীনতা, মর্যাদা ও অগ্রগতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমরা আইনি ও গণতান্ত্রিক পথেই এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো।” তারা এই লড়াইকে শুধু একজন নেত্রীর লড়াই নয়, বরং ‘ত্রিশ লাখ শহিদের রক্তে অর্জিত বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই’ বলেও মন্তব্য করেন। বিবৃতিতে দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করে বলা হয়, “স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির পরাজয় আবারও অবশ্যম্ভাবী।” বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী সাবেক নেতৃবৃন্দ: অসীম কুমার উকিল, মাঈনউদ্দিন হাসান চৌধুরী, ইকবালুর রহিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, বাহাদুর বেপারী, লিয়াকত সিকদার, নজরুল ইসলাম বাবু, মারুফা আক্তার পপি, অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মাহমুদ হাসান রিপন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, বদিউজ্জামান সোহাগ, সিদ্দিকি নাজমুল আলম, সাইফুর রহমান সোহাগ, এস এম জাকির হোসাইন, রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, গোলাম রাব্বানী, আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্য। বিবৃতিটি ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে শেষ হয়।