বৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক বিচার: মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১০১ প্রকৌশলীর তীব্র নিন্দা ‘অবৈধ সরকারের অবৈধ অধ্যাদেশে গঠিত ট্রাইব্যুনাল অবিলম্বে বন্ধের দাবি’
বাংলাদেশ ও প্রবাসে অবস্থানরত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ১০১ জন প্রকৌশলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে “প্রহসনমূলক” ও “অবৈধ” অভিহিত করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে তারা দাবি করেন, নির্বাচিত সরকারের প্রধানের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিচার “সংবিধান, আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের পরিপন্থী।” শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র—প্রকৌশলীদের অভিযোগ বিবৃতিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা তৈরি হয়েছে, তা ব্যাহত ও ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই “এই প্রহসনমূলক বিচার আয়োজন” করা হয়েছে। প্রকৌশলীরা উল্লেখ করেন, উন্নয়ন বাস্তবায়নের মাঠপর্যায়ের কর্মী হিসেবে এ পরিস্থিতিতে নীরব থাকার সুযোগ নেই। ট্রাইব্যুনালের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন প্রকৌশলীরা অভিযোগ করেন, সংসদকে পাশ কাটিয়ে ক্ষমতা দখলকারী কর্তৃপক্ষ “ইউনুস আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল” এর কার্যপরিধি সংশোধন করে যে অধ্যাদেশ জারি করেছে তা সম্পূর্ণ অবৈধ ও আইনগত এখতিয়ার বহির্ভূত। তাদের দাবি, “এ ধরনের অবৈধ আদালতে প্রধানমন্ত্রী, সরকার বা দলের কারও বিচার চলতে পারে না।” আন্তর্জাতিক উদ্বেগও তুলে ধরলেন প্রকৌশলীরা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ডাউটি স্ট্রিট চেম্বারের খ্যাতিমান আইনজীবী স্টিভেন পাওলস কেসি ও তাতিয়ানা ইটওয়েল জাতিসংঘে দাখিল করা জরুরি আবেদনে বিচার প্রক্রিয়ার গুরুতর অসঙ্গতি ও আইনি অনিয়মের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন। সেখানে তিনটি প্রধান উদ্বেগ তুলে ধরা হয়— ১. অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতে বিচার পরিচালনা ও সম্ভাব্য মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকি ২. বিচারক ও প্রসিকিউটরের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ৩. নির্বাচনী বা সিলেক্টিভ জাস্টিসের আশঙ্কা বিচার কার্যক্রম বন্ধের জোর দাবি বিবৃতিতে বলা হয়, “অবৈধ সরকারের অবৈধ অধ্যাদেশে গঠিত আদালতের সব কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।” প্রকৌশলীরা দাবি করেন, বিচার প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে তারা পুরো বিচার প্রক্রিয়াকে “ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান” করেন। তারা আরও উল্লেখ করেন, “এই তথাকথিত বিচারের রায় যাই হোক, প্রকৌশলীরা ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায় মানে না, মানবে না।” স্বাক্ষরকারী ১০১ প্রকৌশলী বিবৃতিতে মোট ১০১ জন প্রকৌশলী স্বাক্ষর করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন— ১.প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সবুর ২. প্রকৌশলী শফিকুর রহমান অনু ৩. প্রকৌশলী নাজমুল আহসান ৪. প্রকৌশলী মোঃ হোসাইন ৫. প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ ৬. প্রকৌশলী স্নেহাশিস ভৌমিক ৭. প্রকৌশলী আবুল হোসেন ৮. প্রকৌশলী নুরুজ্জামান ৯. প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান ১০. প্রকৌশলী মোঃ মুজিব ১১. প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম ১২. প্রকৌশলী আমিনুল হক পলাশ ১৩. প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন ১৪. প্রকৌশলী খোকন ১৫. প্রকৌশলী মোঃ পলাশ ১৬. প্রকৌশলী মসিউর রহমান ১৭. প্রকৌশলী মোঃ দোলন ১৮. প্রকৌশলী মোঃ হাবিব ১৯. প্রকৌশলী মাহমুদ শাজাহান ২০. প্রকৌশলী রেসাদ ২১. প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মোহন ২২. প্রকৌশলী সাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ ২৩. প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার ২৪. প্রকৌশলী আমজাদ হোসাইন ২৫. প্রকৌশলী রফিকুল আলম ২৬. প্রকৌশলী দীপন কর দীপন ২৭. প্রকৌশলী আঞ্জুমান ইসলাম ২৮. প্রকৌশলী মোঃ ইমরান ২৯. প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম ৩০. প্রকৌশলী আব্দুল মতিন ৩১. প্রকৌশলী আব্দুল জলিল ৩২. প্রকৌশলী আব্দুল কাদের ৩৩. প্রকৌশলী খন্দকার কুদরত ৩৪. প্রকৌশলী আব্দুল কুদ্দুস ৩৫. প্রকৌশলী মোঃ মোজাম্মেল ৩৬. প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুল্লাহ ৩৭. প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ ৩৮. প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী ৩৯. প্রকৌশলী আব্দুর রোউফ ৪০. প্রকৌশলী আব্দুল মতিন ৪১. প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম ৪২. প্রকৌশলী মোঃ রিয়াজ শেখ ৪৩. প্রকৌশলী শেখ ওয়ালিউল্লাহ ৪৪. প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম ৪৫. প্রকৌশলী স.ম ফেরদৌস ৪৬. প্রকৌশলী অসীম পোদ্দার ৪৭. প্রকৌশলী দেবাশীষ সাহা ৪৮. প্রকৌশলী সুরঞ্জন চক্রবর্তী ৪৯. প্রকৌশলী নিরঞ্জন সূত্রধর ৫০. প্রকৌশলী সুকুমার পালিত ৫১. প্রকৌশলী আবুল কালাম ৫২. প্রকৌশলী নুরুল আবসার ৫৩. প্রকৌশলী ইকবাল হোসাইন ৫৪. প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল ৫৫. প্রকৌশলী আবুল বাশার ৫৬. প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ৫৭. প্রকৌশলী পথিক সাহা ৫৮. প্রকৌশলী সোহরাব হোসাইন ভূঁইয়া ৫৯. প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান ৬০. প্রকৌশলী জিয়াউল হাসান ৬১. প্রকৌশলী কাদের নেওয়াজ ৬২. প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল্লাহ ৬৩. প্রকৌশলী তৃপ্তিময় ঘোষাল ৬৪. প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর ৬৫. প্রকৌশলী বেগম ফারজানা ৬৬. প্রকৌশলী বেগম নুসরাত ৬৭. প্রকৌশলী ডক্টর ইলিয়াস ৬৮. প্রকৌশলী মোঃ নাসিরুদ্দিন ৬৯. প্রকৌশলী কামরুজ্জামান ৭০. প্রকৌশলী প্রাণ কানাই সাহা ৭১. প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম ৭২. প্রকৌশলী সামসুদ্দিন চৌধুরী ৭৩. প্রকৌশলী উত্তম চক্রবর্তী ৭৪. প্রকৌশলী মোঃ মাইনুদ্দিন ৭৫. প্রকৌশলী মনোজকুমার বণিক ৭৬. প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক ৭৭. প্রকৌশলী অশোক চক্রবর্তী ৭৮. প্রকৌশলী আলাউদ্দিন আহমেদ ৭৯. প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম ৮০. প্রকৌশলী মোঃ বেলাল ৮১. প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান ৮২. প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান ৮৩. প্রকৌশলী আরিফুর রহমান ৮৪. প্রকৌশলী এরশাদউল্লাহ ৮৫. প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াদুদ ৮৬. প্রকৌশলী শিহাবউদ্দিন ৮৭. প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ ৮৮. প্রকৌশলী কামরুল হাসান ৮৯. প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ ৯০. প্রকৌশলী আব্দুর রহমান ৯১. প্রকৌশলী মনসুরুল হক ৯২. প্রকৌশলী ফজলুর রহমান ৯৩. প্রকৌশলী আব্দুস সাদেক ৯৪. প্রকৌশলী পীযুষ সাহা ৯৫. প্রকৌশলী জহির আহমেদ ৯৬. প্রকৌশলী আসিরুল ইসলাম ৯৭. প্রকৌশলী গোপাল ভৌমিক ৯৮. প্রকৌশলী মোঃ ফারুক এ. খান ৯৯. প্রকৌশলী রাসেল সরকার ১০০. প্রকৌশলী মোঃ সেলিমুল্লাহ ১0১. প্রকৌশলী মনোরঞ্জন পাল
