বাংলাদেশের এলজিবিটি কমিউনিটিকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র: পর্ব-২

১৫ নভেম্বর, ২০২৫ | ১০:২৯ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

আমি আমার আগের বক্তব্যে জানিয়েছি, কীভাবে বাংলাদেশের এলজিবিটি কমিউনিটিকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয়। এই লেখার পর আমাকে অনেকেই জানাতে বলেছেন হোচিমিন আর মো. মুনতাসির রহমানের ভূমিকওা। অনেক কিছু জানাতে চাইলেও, সংগত কিছু কারণে আমি জানাতে পারি না। তবে যেগুলো আপনারা জানেন সেগুলোর সাথে আরও কিছু অজানা তথ্য আমি জানাতে পারি। এই পোস্টে আমি লিখব হোচিমিনের বিষয়ে- এই পোস্টের সাথে দুটি ছবি দেওয়া আছে। একটি মরিয়ম মান্নান, যিনি নিজের মায়ের গুম-খুন হওয়ার নাটক করেছিলেন। আর অপরটি হোচিমিনের সাথে মরিয়ম মান্নানের তোলা ছবি। মরিয়ম মান্নান স্পষ্টতই নিজের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক স্বার্থ রক্ষার জন্য এই নাটক করেন। পড়ুন: ‘শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতে এলজিবিটি কমিউনিটিকে ব্যবহার করে ডিপ স্টেট’ কিন্তু হোচিমিন এই ঘটনাকে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা গুম, খুনের অভিযোগ জনমানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া এবং আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গ্রহণ করেন। এই নাটকের শুরু থেকেই তিনি তার পরিচিত সাংবাদিক ভাই-বোনদের দিয়ে প্রচুর নিউজ ভাইরাল করান। এবং সবশেষে লাশ পাওয়ার নাটক মঞ্চস্থ করতে নিজে মরিয়ম মান্নানের তৎকালীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ফ্ল্যাটে দেখা করতে যান। সেই সাক্ষাতে তিনি মরিয়ম মান্নানকে লাশ পাওয়ার নাটক করতে বলেন এবং এই সাক্ষাতের ঠিক পরেরদিন মরিয়ম মান্নান তার মায়ের লাশ পাওয়ার কথা জানান। হোচিমিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে এই বিষয় নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক জনরোষ তৈরি হলে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন অধিকতর তদন্ত শুরু করে এবং এরপর এই ঘটনাপ্রবাহ একটি নাটক সেটি প্রকাশ পায়। হোচিমিন নিজের এই ষড়যন্ত্র ঢাকতে ওই দিন থেকে প্রকাশ্যে ও সোশ্যাল মিডিয়াতে মরিয়ম মান্নানকে সমানে গালিগালাজ করেন। আমাকে অনেকেই জানিয়েছেন, বাংলাদেশের এলজিবিটি কমিউনিটি কেন এই ষড়যন্ত্র করল? আমার মতামত—কমিউনিটি করেনি। করেছিল হোচিমিন আর মুনতাসিরদের মত কিছু লোভী ও অসৎ ব্যক্তি, যারা মানুষের জন্য কষ্ট না করে রাতারাতি ক্ষমতার মালিক হতে চেয়েছে। হোচিমিনের অভিলাষ—তিনি বাংলাদেশের সংসদ সদস্য হবেন। এজন্য তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মানুষের সাথে দেখা করে ছবি তুলে সেটা প্রচার, আওয়ামী মহিলা লীগ এর জাতীয় সম্মেলনে গিয়ে দেন–দরবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ছবি তুলে ভাইরাল করা—যা যা করার সবই করেছেন। কিন্তু যখন কিছুই পাননি, তখন নতুন বন্দোবস্তের বদৌলতে কিছু পাওয়ার আশায় আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে সবসময় সক্রিয় থেকেছেন। সঞ্জীবনী সুধা তিনি প্রথমে জাতীয় পার্টির বিদিশা এরশাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন, তাতে কোন ফল না হওয়ায় তিনি আওয়ামী লীগের সাথে সখ্যতা গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও কিছু হয়নি। তবে তার এই উচ্চাভিলাষ শেষ হয়নি। তিনি বর্তমান বিএনপি, জামায়াত এবং সামনে যাকেই পাচ্ছেন, সখ্যতা গড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যেখানেই যান সাথে করে নিজের দলের মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে একজন ক্যামেরাম্যান নিয়ে যান। ছবি তুলে সেটা ফলাও করে প্রচার করাই তার এখনকার গ্রাউন্ড ওয়ার্ক। কিছুদিন পর তিনি বিএনপি বা এনসিপিতে যোগ দিলে বা তিনি জামাত–শিবিরের গুপ্ত এজেন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলে তাতে আশা করি আপনারা নিশ্চয়ই অবাক হবেন না। সঞ্জীবনী সুধা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ