“জঙ্গিবাদ মানবতার শত্রু”— দিল্লি হামলা নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিবৃতি
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সংগঠনটি হামলায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছে। গত ১০ই নভেম্বর দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় ঘটে এই নৃশংস হামলা। এতে এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ছাত্রলীগ এক বিবৃতিতে বলেছে, এই হামলা দক্ষিণ এশিয়ায় সীমান্তপারের জঙ্গিবাদের ধারাবাহিকতা, যা পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠিত জঙ্গি নেটওয়ার্কের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে পরিচালিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর কিছু অংশ প্রতিবেশী দেশগুলোকে অস্থিতিশীল করতে জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন ও সহায়তা দিয়ে আসছে। এর ফলে গোটা উপমহাদেশের শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। ছাত্রলীগের বিবৃতিতে বলা হয়, “রাষ্ট্রের আশ্রয়ে বেড়ে ওঠা এসব চরমপন্থী নেটওয়ার্ক ও তাদের মতাদর্শিক সহযোগীদের সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে হবে। এই ধরনের সমন্বিত হামলার উদ্দেশ্য হলো সমাজে বিভাজন সৃষ্টি, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করা এবং গণতান্ত্রিক সমাজকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা—যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক মূল্যবোধের পরিপন্থী।” বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদ কোনো দেশ বা মতাদর্শেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা এসব শক্তিকে সমর্থন বা প্রশ্রয় দেয়, তারা মানবতা ও ন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করছে। ভারতের প্রতি সংহতি জানিয়ে ছাত্রলীগ জানিয়েছে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে তারা নীতিগতভাবে ভারতের পাশে রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “শান্তি, নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রচেষ্টা সশস্ত্র উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত।” ছাত্রলীগ আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দিয়েছে, যাতে মানবাধিকার সুরক্ষা, গণতন্ত্রের রক্ষা এবং আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়। বিবৃতির শেষে বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে সংগঠনটি।
