আওয়ামী লীগকে ফাঁসাতে জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্র।

১২ নভেম্বর, ২০২৫ | ৭:২২ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

রাজধানীতে নাশকতার মাধ্যমে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরির এক নতুন ষড়যন্ত্রের গুঞ্জন উঠেছে। একটি সূত্রের অভিযোগে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতপন্থী কতিপয় বাস মালিকের সাথে দুটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে নিজেদের বাসে অগ্নিসংযোগ করে তার দায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর চাপানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। সূত্রটির দাবি, সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এলাকায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়দানকারী কয়েকজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হিসেবে পরিচিত কয়েকজন বাস মালিকও অংশ নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, এই ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য হলো—নাশকতার দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা এবং চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তোলা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিএনপি-জামায়াতপন্থী মালিকদের কিছু বাসে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগ করা হবে। এরপর সেই ঘটনাকে পুঁজি করে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করে ব্যাপক অপপ্রচার চালানো হবে। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব না হলেও এর বিষয়বস্তু বেশ উদ্বেগজনক। কারণ, যে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দায়িত্ব দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নাশকতা প্রতিরোধ করা, তাদের নাম এমন ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে আসায় নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে ডিএমপি, ডিজিএফআই বা এনএসআই-এর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি বাস মালিক সমিতি বা বিএনপি-জামায়াতের কোনো নেতাও এ ধরনের বৈঠকের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অতীতেও রাজনৈতিক সংকটকালে দেশে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটেছে এবং তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে দোষারোপের রাজনীতি চলেছে। শক্ত প্রমাণ ছাড়া এমন স্পর্শকাতর অভিযোগ জনমনে কেবল বিভ্রান্তিই ছড়াবে না, বরং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ও অবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এদিকে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, যেকোনো ধরনের নাশকতা বা ষড়যন্ত্রের তথ্য পেলে তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেন। এমন কোনো পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।