দিল্লি হামলায় শেখ হাসিনার নিন্দাঃ জঙ্গিবাদ ও আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদ এর বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থানের ঘোষণা

১১ নভেম্বর, ২০২৫ | ৭:২৪ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

দিল্লি/ঢাকা, ১১ নভেম্বর ২০২৫: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সংঘটিত ভয়াবহ জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এই উগ্রবাদী জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূলে আঘাত করে।” নিহতদের স্মরণে গভীর শোক, শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে তিনি পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক দেশগুলোতে নেটওয়ার্ক বিস্তার করে শান্তি নষ্ট করার অভিযোগ করেছেন। বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, “ভারতের রাজধানী দিল্লিতে যে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আধুনিক বিশ্বে উগ্র-জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসের কোনো জায়গা নেই।” তিনি উল্লেখ করেন, “এই সন্ত্রাসী-জঙ্গিগোষ্ঠী বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ‘খোলনলচে বদলে ফেলেছে’ এবং বিভিন্ন দেশে নেটওয়ার্ক বিস্তার করে ভারতে হামলা চালিয়ে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়। এই সন্ত্রাসীদের রুখে দিয়ে মানুষে মানুষে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় শান্তি ও স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হবে,” সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক লড়াইয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি আওয়ামী লীগের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা বিশ্বাস রাখি, বর্তমান বিশ্ব সভ্যতায় মানবতাবিরোধী এ ধরনের জঘন্য অপরাধের কোনো জায়গা এবং ক্ষমা নেই। সন্ত্রাসবাদের ভিত্তিভূমি যেখানেই হোক না কেন—তা সমূলে উৎপাটন করতে হবে।” তিনি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে মদদদাতাদেরও “মানবতার শত্রু” আখ্যায়িত করে চরম ঘৃণা প্রকাশ করেন। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, “আমরা ভারতের জনগণের পাশে আছি এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে ভারতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় অবস্থান।” তিনি বিশ্বাস করেন, “এই সন্ত্রাসী-জঙ্গিগোষ্ঠীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার সমুন্নত হবে এবং পৃথিবী আরও নিরাপদ হয়ে উঠবে।” বিবৃতির শেষে শেখ হাসিনা স্লোগান দেন: “জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক, মানবতা মুক্তি পাক।” এই বিবৃতি প্রকাশের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, “বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই সমর্থন আমাদের শক্তি যোগাবে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ায় ঐক্যবদ্ধ লড়াই জরুরি।” বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র দিল্লির এই হামলার বিষয়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।