তীব্র নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর, ভারতের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিরীহ মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ এক বিবৃতিতে তিনি এই বর্বর হামলার শিকার নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। একইসাথে তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারতের রাজধানী দিল্লিতে যে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়েছে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আধুনিক বিশ্বে উগ্র-জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসের কোনো জায়গা নেই।" তিনি উল্লেখ করেন, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল ভিত্তিকেই ধ্বংস করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীকে দায়ী করে বলেন, "এই সন্ত্রাসী-জঙ্গিগোষ্ঠী বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে খোলনলচে বদলে ফেলেছে। পাকিস্তানভিত্তিক এই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করে ভারতে হামলা চালিয়ে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়।" তিনি এই সন্ত্রাসীদের রুখে দিয়ে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানান। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবস্থানের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, "সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক এই লড়াইয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।" বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের 'জিরো টলারেন্স' নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, "সন্ত্রাসবাদের ভিত্তিভূমি যেখানেই হোক না কেন- তা সমূলে উৎপাটন করতে হবে।" তিনি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এই সন্ত্রাসী জঙ্গিগোষ্ঠীকে মদদদানকারীদের 'মানবতার শত্রু' হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করেন। সবশেষে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের জনগণ ও সরকারের প্রতি বাংলাদেশের সংহতি প্রকাশ করে বলেন, "আমরা ভারতের জনগণের পাশে আছি এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে ভারতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।" তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পরাজয়ের মাধ্যমে বিশ্বে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার সমুন্নত হবে এবং পৃথিবী আরও নিরাপদ হয়ে উঠবে।
