আরাকান আর্মির অনুপ্রবেশের চেষ্টা, সীমান্তে বিজিবির সাথে গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

৯ নভেম্বর, ২০২৫ | ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে বিজিবি বাধা দেয়, যা থেকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় পুরো সীমান্ত এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি সূত্র ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, আজ সকালে পালংখালী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আরাকান আর্মির কয়েকজন সদস্য অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করে। সীমান্তে টহলরত বিজিবির একটি দল তাদের গতিবিধি চ্যালেঞ্জ করে থামার নির্দেশ দেয়। কিন্তু আরাকান আর্মির সদস্যরা নির্দেশ অমান্য করে আকস্মিকভাবে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। বিজিবির সদস্যরাও তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা জবাব দেয়। উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে গোলাবিনিময় চলে। বিজিবির প্রতিরোধে টিকতে না পেরে আরাকান আর্মির সদস্যরা শেষ পর্যন্ত পিছু হটে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। এই ঘটনাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের প্রভাব এখন সরাসরি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। আরাকান আর্মির মতো একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর এ ধরনের তৎপরতা শুধু আইন-শৃঙ্খলার বিষয় নয়, বরং এটি একটি বড় ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগের কারণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ও শক্তির ভারসাম্য ভারতের হাতে রয়েছে। পরিবর্তিত এই বাস্তবতায় বাংলাদেশকে অবশ্যই আবেগ নয়, বরং বাস্তব শক্তি এবং বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত দিয়ে ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। সীমান্তে বারবার অস্থিতিশীলতা প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা নীতিতে আরও কঠোর ও কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। এদিকে, এই ঘটনার পর থেকে সীমান্তে বিজিবি টহল ও নজরদারি বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।