শেখ হাসিনার গড়া উন্নয়নের অর্থনীতি আজ সংকটে, ইউনূসের দুর্বল ব্যবস্থাপনায় দিশেহারা ব্যাংকিং খাত
যে বাংলাদেশকে একসময় 'এশিয়ার অর্থনৈতিক বিস্ময়' হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রশংসা করা হতো, সেই দেশের অর্থনীতি আজ গভীর সংকটের মুখে। শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে যে দেশটি উন্নয়নের এক নতুন দিগন্তে পৌঁছেছিল, ক্ষমতার পালাবদলের পর সেই শক্তিশালী ভিত্তিই এখন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে, যেখানে বর্তমান সংকটের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের দুর্বল আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশ এশিয়ার দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি ছিল। নানান চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তাঁর সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের প্রবৃদ্ধি ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু সেই সাফল্যের ধারা আজ ব্যাহত। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দেশের খেলাপি ঋণের হার ছিল ২০.২ শতাংশ, যা উদ্বেগজনক হলেও নতুন সরকারের ছয় মাসের মাথায়, অর্থাৎ ২০২৫ সালের জুনে, তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.০৯ শতাংশে। এই স্বল্প সময়ে খেলাপি ঋণের এমন নাটকীয় উল্লম্ফন বর্তমান প্রশাসনের নীতিগত ব্যর্থতাকেই সামনে নিয়ে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ব্যাংকিং খাতে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে তা বড় ধরনের সংকট তৈরি করতে পারেনি। কিন্তু ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর অদক্ষ আর্থিক ব্যবস্থাপনার কারণেই দেশের ব্যাংকিং খাত আজ এশিয়ার 'সবচেয়ে দুর্বল' হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, যা বিগত এক দশকের অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। শেখ হাসিনার গড়ে তোলা অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েও বর্তমান সরকার সঠিক পথ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হচ্ছে। একসময়ের উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ আজ এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল ব্যাংকিং ব্যবস্থার দেশে পরিণত হয়েছে, যা শেখ হাসিনা সরকারের রেখে যাওয়া সাফল্যের সঙ্গে এক বিশাল বৈপরীত্য তৈরি করেছে।
