আট মাসে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছেন ২ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি

৫ নভেম্বর, ২০২৫ | ৯:২৫ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়া ভ্রমণ করেছেন ২ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি পর্যটক। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাজধানী কুয়ালালামপুরের মেরকিউর হোটেলে নিরব এসডিএন বিএইচডি আয়োজিত এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতি উপমন্ত্রী দাতুক খাইরুল ফিরদাউস আকবর খান। তিনি জানান, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে আগত পর্যটকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৯২৯ জনে, যা গত বছরের তুলনায় ১২৭.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপমন্ত্রীর ভাষায়, এ অর্জন আমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্ব, আস্থা ও সহযোগিতার দৃঢ়তার প্রতিফলন। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে নিরব এসডিএন বিএইচডির সঙ্গে এক কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দাতুক খাইরুল ফিরদাউস আকবর খান। উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্য) প্রণব কুমার ঘোষ, পাসপোর্ট উইং প্রধান ইয়াসিন কবিরসহ বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধি, পর্যটন উদ্যোক্তা ও গণমাধ্যম কর্মীরা। উপমন্ত্রী বলেন, এই সমঝোতা স্মারক আমাদের দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতার নতুন অধ্যায় সূচনা করবে। বিশেষ করে পর্যটন, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে এই অংশীদারিত্ব উভয় দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। দাতুক খাইরুল ফিরদাউস আরও বলেন, পর্যটন মালয়েশিয়া সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশের বাজারে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘ঢাকা ট্রাভেল মার্ট’ ও আসন্ন ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার’-এ অংশগ্রহণের পাশাপাশি ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগ বাংলাদেশের পর্যটকদের মধ্যে মালয়েশিয়াকে আরও জনপ্রিয় করে তুলছে। তিনি আরও যোগ করেন, মালয়েশিয়া এখন বিশ্বমানের চিকিৎসা, শিক্ষা ও পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃত। জোহর মেডিকেল গ্রুপ (কেপিজে), কেএল ফার্টিলিটি, প্রিন্স কোর্ট মেডিকেল সেন্টার ও হেল্প ইউনিভার্সিটির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের বাজারে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, যা দুই দেশের আস্থা ও সম্পর্ককে আরও মজবুত করছে। উপমন্ত্রী খাইরুল ফিরদাউস বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উচ্চতায় পৌঁছবে। এ অংশীদারিত্ব আমাদের পারস্পরিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জনগণের কল্যাণে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের স্থায়িত্ব কামনা করে বলেন, আমরা এমন এক ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যেখানে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া একে অপরের অগ্রগতির অংশীদার হবে। নিরব এসডিএন বিএইচডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গিয়াস আহমদ বলেন, আমরা মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটি বিশ্বাসের সেতু তৈরি করছি। প্রতিটি রোগী ও শিক্ষার্থী যেন পেশাদার, সৎ ও সহানুভূতিশীল সেবার অভিজ্ঞতা পান— এটাই আমাদের লক্ষ্য।