ড. ইউনুসের পতনের ডাক যুবলীগের, ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লকডাউন ঘোষণা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ‘খুনি ও ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে তার সরকারের পতনের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন খান নিখিল। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান এবং আগামী ১৩ নভেম্বর ঢাকায় সর্বাত্মক লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিবৃতিতে নিখিল অভিযোগ করেন, ‘অবৈধ দখলদার’ ড. ইউনুস দেশকে অস্থিতিশীল করছেন এবং উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছেন, যা জাতির জন্য একটি গুরুতর হুমকি। তিনি বলেন, "অবৈধ আইসিটি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার বিভাগসহ পুরো জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে এবং দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে।" অন্তর্বর্তী সরকারের গত ১৪ মাসের কার্যক্রমের সমালোচনা করে নিখিল বলেন, এই সময়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং সহিংসতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে দাবি করেন, এই সময়ে ৪০ জনকে হত্যা, ১৯ জনকে গুলিতে হত্যা, গণপিটুনিতে ১৫৩ জন এবং রাজনৈতিক সহিংসতায় ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মতে, এই পরিস্থিতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে ‘অবৈধ দখলদারকে’ ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা জরুরি। যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন স্থবির হয়ে পড়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। এ সময় তিনি কয়েকটি স্লোগান তুলে ধরেন: "প্রহসনের ট্রাইব্যুনাল বন্ধ কর, করতে হবে" "রাজাকারের ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও" "দেশ-ধ্বংসের ট্রাইব্যুনাল মানি না, মানব না" "শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র বাংলাদেশে চলবে না" তিনি বলেন, "দেশের মানুষের স্বার্থে ও নিরাপত্তার জন্য এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে আমরা অবৈধ দখলদার ইউনুসকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বাংলার মাটিতে ফিরিয়ে আনব।" এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আগামী ১৩ নভেম্বরের লকডাউন সফল করতে তিনি ঢাকার সর্বস্তরের মানুষকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।
