মালয়েশিয়ায় কর্মী রফতানিতে চরম ধস: শেখ হাসিনার আমলে ৩.৫ লাখের বিপরীতে ইউনুসের সময়ে গেলেন মাত্র ২,৬৭০ জন
					 মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মী রফতানির ক্ষেত্রে ভয়াবহ পতন লক্ষ্য করা গেছে। সাম্প্রতিক সরকারি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, পূর্ববর্তী সরকারের শেষ এক বছরে যেখানে তিন লক্ষাধিক কর্মী মালয়েশিয়াতে কর্মসংস্থান পেয়েছিলেন, সেখানে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের (ইউনুসের আমল) সময়ে এই সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের শেষ এক বছরে ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে মোট ৩,৫১,৬৮৩ জন কর্মী পাঠানো সম্ভব হয়েছিল। এই বিশাল কর্মীর বহর দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ও বেকারত্ব নিরসনে বড় ভূমিকা রেখেছিল। তবে, সরকার পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পাল্টে যায়। ইউনুসের আমলে চলতি বছর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১১ মাসে, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২,৬৭০ জন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুটি পরিসংখ্যানের মধ্যেকার বিশাল পার্থক্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশের জন্য একটি "ব্যাপক পতনের" স্পষ্ট প্রমাণ। এক বছরের ব্যবধানে কর্মী রফতানির হার প্রায় ৯৯ শতাংশ কমে যাওয়ায় শ্রমবাজার সংশ্লিষ্টরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শ্রম ও জনশক্তি রফতানি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এত বড় পতনের প্রধান কারণ হলো নতুন করে শ্রমিক প্রেরণের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া, কূটনৈতিক জটিলতা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নীতিগত দুর্বলতা। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও এই ধস দেশের অর্থনীতি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্মী রফতানির এই নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকলে, বেকারত্ব আরও বাড়বে এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে অন্যতম প্রধান শ্রমবাজারটি হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা দ্রুত কূটনৈতিক তৎপরতা ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার পুনরায় উন্মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
