১০ মাসে ১৩০০ মিছিল, দমন-পীড়নে ৭০০ নেতা-কর্মী নিহত
ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ (আ. লীগ) নেতা-কর্মীদের উপর চলা বেপরোয়া দমন-পীড়ন, জেল-নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন শুরু করেছে দলটি। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গত ১০ মাসে আওয়ামী লীগ ১৩০০টিরও বেশি প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। তবে ক্ষমতাসীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কঠোর দমন-নীতির কারণে আ. লীগের এসব আন্দোলন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিপুল সংখ্যক মিছিল হওয়া সত্ত্বেও নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির ফলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি মোকাবিলায় অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। দমন-পীড়নের শিকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ড. ইউনূসের সরকার তাদের উপর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। গত ১০ মাসে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপর চালানো নির্যাতনের চিত্র নিম্নরূপ: গ্রেফতার ও আটক: এই সময়ে মিছিল ও সমাবেশ থেকে সরাসরি প্রায় ৩,০০০ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। কারাবরণ ও হয়রানি: বর্তমানে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক (২,৫০,০০০) আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী রাজনৈতিক মামলায় কারাবন্দী রয়েছেন। হত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যা: চলমান রাজনৈতিক সংঘাতে এবং সরকারের দমন-নীতির শিকার হয়ে গত ১০ মাসে প্রায় ৭০০ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে বহু নেতা-কর্মীকে বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ তোলা হয়েছে। কারাগারে মৃত্যু: কারাবন্দী অবস্থায় সঠিক চিকিৎসা ও নিরাপত্তা না পেয়ে ৫৫ জন নেতা-কর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ। ঘরছাড়া ও উদ্বাস্তু: সরকারের ক্রমাগত মামলা ও হয়রানির কারণে দলটির প্রায় দুই কোটি (২,০০,০০,০০০) নেতা-কর্মী ঘর ছেড়ে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এই দমন-পীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ, আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন।
