জামায়াত কি আদৌ মওদুদীর ‘বিকৃত আকিদা’ ঝেড়ে ফেলতে পেরেছে? নাকি আগের পথেই আছে?
 
					 বাংলাদেশের রাজনৈতিক ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা সবসময়ই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু। দলটির প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর ইসলামী চিন্তাধারা, যাকে হাক্কানি আলেমগণ ‘বিকৃত আকিদা’ আখ্যা দিয়েছেন, আজও দলের মূল ভিত্তি কিনা—এই প্রশ্নটি নতুন করে উঠে এসেছে। বিভিন্ন আলেম-ওলামাদের বিবৃতি এবং ঐতিহাসিক বিশ্লেষণে মওদুদীর বক্তব্যকে ‘ইসলাম বিকৃতি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর আলোকে জামায়াত কি তার প্রতিষ্ঠাতার আদর্শ থেকে সরে এসেছে, নাকি এখনও সেই ছায়ায় চলছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলটি রাজনৈতিক চাপে কিছু পরিবর্তন দেখালেও মূলত মওদুদীর রাজনৈতিক ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত হয়নি। মওদুদীর ‘বিকৃতি’র নমুনা: সামহোয়্যার ইন ব্লগের একটি প্রখ্যাত পোস্টে (শিরোনাম: “জামায়াতে ইসলামী ধর্মের প্রবক্তা মওদুদীর কিছু ইসলাম বিকৃতির নমুনা”) লেখক বহুরূপী মহাজন মওদুদীর ভাষ্য ও রচিত গ্রন্থ থেকে কিছু বক্তব্য তুলে ধরেছেন, যা ঐতিহ্যবাহী ইসলামী শিক্ষার সঙ্গে সাংঘাতিক বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি: নেতৃত্বের লালসা ও ইসলামী রাষ্ট্র: মওদুদী তার লেখায় বলেছেন, ইসলামের প্রকৃত লক্ষ্য হলো পৃথিবীতে ‘হাকুমাতে ইলাহিয়া’ (আল্লাহর রাজত্ব) প্রতিষ্ঠা করা, যা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে সম্ভব। কিন্তু হাদিসে নবী মুহাম্মদ (সা.) কর্তৃত্বের লোভকে ধ্বংসের কারণ বলে বর্ণনা করেছেন। ব্লগে উল্লেখ, মওদুদী এই হাদিসকে উপেক্ষা করে ইসলামকে একটি ‘রাজনৈতিক আন্দোলন’ হিসেবে চিত্রিত করেছেন, যা অনেক আলেমের মতে ধর্মের মূল শিক্ষা থেকে বিচ্যুতি। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের সমালোচনা: মওদুদী তার বই ‘খুতবা’তে (পৃ. ২১৭) লিখেছেন, “লোকে সাধারণত বলে ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ: শাহাদাহ, সালাত, যাকাত, সাওম ও হজ্জ। এগুলোই ইসলাম—এই ভুল ধারণায় তারা অনেকদিন ধরে আছে। এসলে এটা একটা বড় বিভ্রম।” ব্লগ অনুসারে, এটি ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোকে অস্বীকার করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রয়াস, যা ধর্মের বিকৃতি। হাদিসের প্রতি সন্দেহ: মওদুদী সহীহ বুখারী শরীফের হাদিসগুলোর উপর প্রশ্ন তুলেছেন, বলেছেন: “কোন সত্যবাদী মানুষই দাবি করতে পারবে না যে ৬-৭ হাজার হাদিসের সবগুলো সত্য।” এটি ঐতিহ্যবাহী সুন্নাহ অনুসরণের বিরোধী বলে সমালোচিত। এই পোস্টটি ২০০৮ সালের, কিন্তু সাম্প্রতিক ওয়েব অনুসন্ধানে দেখা যায়, অনুরূপ সমালোচনা ‘মাসিক আদর্শ নারী’ (২০২৩) এবং ‘কালের কণ্ঠ’ (২০১৫) পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে। এখানে মওদুদীকে ‘নবী-রাসূলের আদত-আখলাককে সুন্নাহ বলে অনুকরণের বিরোধিতা’ করার জন্য ‘ধর্মবিকৃতির’ অভিযুক্ত করা হয়েছে। জামায়াতের অতীত: মওদুদীর ছায়ায় রাজনীতি জামায়াতে ইসলামী ১৯৪১ সালে মওদুদীর হাতে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতীয় উপমহাদেশে। উইকিপিডিয়া এবং অন্যান্য সূত্র অনুসারে, মওদুদী ইসলামকে ‘রাজনৈতিক আন্দোলন’ হিসেবে দেখতেন, যা পশ্চিমা গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদকে প্রত্যাখ্যান করে ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। বাংলাদেশে দলটি ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে থাকায় নিষিদ্ধ হয়, কিন্তু ১৯৭৯ সালে পুনরায় সক্রিয় হয়। বিবিসি রিপোর্ট অনুসারে, দলটির ইতিহাসে বারবার নিষেধাজ্ঞা এসেছে, সাম্প্রতিকতম ২০২৪ সালে (পরে প্রত্যাহারিত)। অনুতাপের অভাব: আদর্শ থেকে সরে আসা কতটা?জামায়াত কি মওদুদীর ‘বিকৃতি’র জন্য অনুতপ্ত? সূত্রগুলো থেকে দেখা যায়, কোনো স্পষ্ট অনুতাপের ইঙ্গিত নেই। উল্টে, দলটি মওদুদীর চিন্তাকে ‘ইসলাম পুনর্জাগরণের’ অংশ বলে দাবি করে। উদাহরণস্বরূপ: ভারতীয় শাখার পরিবর্তন: ‘টুসার্কলস.নেট’ (২০১০) রিপোর্টে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী হিন্দের আমির সৈয়দ ইয়াকুব কে.এ. তারিক বলেছেন, দলটি ‘কুরআন ও হাদিসের উপর ভিত্তি করে চলে, মওদুদীর চিন্তার উপর নয়’। এটিকে ‘মওদুদীবাদ থেকে সেকুলারাইজেশন’ বলা হয়েছে, বিশেষ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য। তবে পরে দলের অন্য নেতারা বলেছেন, মওদুদী ‘গুরুত্বপূর্ণ’, কিন্তু দেশের পরিস্থিতি অনুসারে পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান: বাংলাপিডিয়া অনুসারে, বাংলাদেশ জামায়াত ১৯৭৯ সাল থেকে সক্রিয়, কিন্তু মওদুদীর রাজনৈতিক ইসলামের ছাপ স্পষ্ট। ‘নিউ এজ ইসলাম’ (২০২৩) বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দলটি ‘মওদুদীর থিওক্র্যাটিক ভিশন’ থেকে বিচ্যুত হয়নি; বরং এটি এখনও ‘জাহিলিয়াত’ (অজ্ঞতার যুগ) বিরোধী আন্দোলন হিসেবে নিজেকে দেখে। সালাফি সমালোচকরা (যেমন ‘দ্য ওয়ে অফ সালাফিয়্যাহ’) মওদুদীকে ‘তাওহিদ উপেক্ষা করে রাজনীতিকে প্রাধান্য দেওয়ার’ জন্য সমালোচনা করেন, এবং জামায়াতকে তার অনুসারী বলে অভিহিত করেন। বিশ্বব্যাপী প্রভাব: উইকিপিডিয়া এবং ‘কাউন্টার এক্সট্রিমিজম প্রজেক্ট’ অনুসারে, মওদুদীর চিন্তা মুসলিম ব্রাদারহুড, হামাস এবং এমনকি আল-কায়েদার মতো গোষ্ঠীর উপর প্রভাব ফেলেছে। রাশিয়া ২০০৩ সাল থেকে জামায়াতকে ‘টেররিস্ট অর্গানাইজেশন’ ঘোষণা করেছে এই যোগসূত্রের কারণে। বিশেষজ্ঞদের মতামতইসলামী চিন্তাবিদ ইরফান আহমেদ (‘ফ্রন্টলাইন’ ম্যাগাজিন, ২০১৮) বলেছেন, জামায়াত মওদুদীর চিন্তাকে ‘পরিবর্তনশীল রাজনীতির সাথে মানিয়ে নিয়েছে’, কিন্তু মূল আদর্শ—ইসলামকে রাজনৈতিক সিস্টেম হিসেবে দেখা—অটুট। অন্যদিকে, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদী) এর মতো দলগুলো জামায়াতকে ‘র্যাডিকাল’ বলে অভিযোগ করে, যা মওদুদীর উত্তরাধিকার। সংক্ষেপে, জামায়াতে ইসলামী মওদুদীর ‘বিকৃতি’র জন্য কোনো স্পষ্ট অনুতাপ প্রকাশ করেনি। বরং, রাজনৈতিক বাস্তবতায় কিছু সমন্বয় দেখালেও দলটি তার প্রতিষ্ঠাতার রাজনৈতিক ইসলামের পথ থেকে আদৌ সরে আসেনি। এই বিতর্ক ভবিষ্যতে আরও তীব্র হতে পারে, বিশেষ করে নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে। জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর ভ্রান্ত এবং কুফুরী আকিদা সমূহ রেফারেন্সসহ নিম্নে পেশ করা হলো। ১। মওদুদী বলেছে, সমস্ত নবী গোনাহগার। (তাফহীমাত ২য় খন্ড ৫৭ পৃঃ) ২। মওদুদী বলেছে, নবী ও সাহাবীদের মধ্যে লোভ, লালসা, ঘৃনা-বিদ্ধেষ, কার্পন্য, স্বার্থপরতা ও প্রতিহিংসা ছিল, যার ফলে ওহুদ যুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন। (তাফহীমুল কুরআন ২য় খন্ড পৃঃ ৬০ , ৯৯ নং টীকা।) ৩। কুরআন নাযিল হওয়ার একশত বছর পরে তা পরিবর্তন হয়ে গেছে। (কুরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা পৃঃ ১৪ ও ১৫) ৪।মওদুদী বলেছে, আমাদের নবী তাঁর রেসালতের দায়িত্ব আদায়ে ভূল ত্রুটি করেছেন। (তাফহীমুল ১৯ খন্ড পৃঃ ২৮৬ , ৪নং টীকা , কুরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা পৃঃ ১১৮) ৫। নবী عليه السلام এর মত লম্বা দাড়ি রাখা বা অন্যান্য কর্ম নবী এর মত করা মারাত্মক ধরনের বিদাত ও দ্বীনের বিপজ্জনক বিকৃতি। (রাসায়েল ও মাসায়েল ১ম খন্ড পৃঃ ১৮২ ও ১৮৩ নং) ৬। হাদীসের দ্বারা যদি বেশি কিছু অর্জিত হয় তবে সহীহ হওয়ার ধারনার উপর দৃঢ় বিশ্বাস ইয়াকিন রাখা যায় না। (তরজমানুল কুরআন পৃঃ ২৬৭ খন্ড ২৬ সংখ্যা ৩) ৭। আল্লাহ পাকের বিধান অস্বীকার করে মওদুদী বলেছিলো – “যে ক্ষেত্রে নর-নারীর অবাধ মেলামেশা সেক্ষেত্রে যেনার কারনে (আল্লাহ পাক উনার আদেশ কৃত) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা জুলুম। (তাহফীমাত ২/২৮১) নোট- অথচ জেনাকারীদের জন্যে রজমের শাস্তি স্বয়ং আল্লাহ পাক নিজেই দিয়েছেন। ৮। ফেরেশতা ঐ জিনিস যাকে গ্রীক, ভারত ইত্যাদি দেশের মুশরিকরা দেব-দেবী হিসাবে স্থির করেছে। (তাজদীদ ও ইহইয়ায়ে দীন ১০ পৃ) ৯।হযরত আদম আলাইহিস সালাম মানবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত ছিলেন। (তাহফীমুল কুরআন উর্দু ,৩/১২৩) ১০। হযরত নূহ আলাইহিস সালাম এর চিন্তা ধারার দিক থেকে দীনের চাহিদা থেকে সরে গিয়েছিলেন। (তাহফীমুল কুরআন ২/৩৪৪, ৩য় সংস্করন ,১৯৬৪ ইং ) ১১। নবী হওয়ার পূর্বে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম দ্বারা একটি কবীরা গুনাহ হয়েছিলো। (রাসায়েল ও মাসায়েল ১/৩১) ১২। মহানবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অথাৎ তিনি মানবিক দুর্বলতার বশিভুত হয়ে গুনাহ করেছিলেন। (তরজমানুল কুরআন , ৮৫ সংখ্যা , ২৩০ পৃষ্ঠা , তরজমানুস সুন্নাহ ৩/৩০৫ ) ১৩। কোরআনুল করীম নাজাতের জন্য নয়; নিছক হেদায়াতের জন্য। (তাফহীমুল কোরআন ১ম খন্ড, ৩২১ পৃষ্ঠা) ১৪। হযরত আবু বকর সিদ্দিক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু খিলাফতের দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ অযোগ্য ছিলেন| (তাজদীদ ও এহহীয়ায়ে দীন ২২ পৃ ) ১৫। হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার মাঝে স্বজন প্রীতীর বদগুন বিদ্যমান ছিলো। (খেলাফত ও মুলকিয়াত ৯৯ পৃ ) ১৬। হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু খেলাফত কালে এমন কিছু কাজ করেছেন যাকে অন্যায় বলা ছাড়া উপায় নাই ! ( খেলাফত এ মুলকিয়াত ১৪৬ পৃ) ১৭। হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু স্বর্থবাদী, গনিমতের মাল আত্বসাৎকারী, মিথ্যা সাক্ষ্য গ্রহনকারী ও অত্যাচারী ছিলেন। (খেলাফত ও মুলকিয়াত ১৭৩ পৃ) ১৮। সাহাবায়ে কিরাম অনেকে মনগড়া হাদীস বর্ননা করেছেন। (তরজুমানুল কুরআন ,৩৫ সংখ্যা) ১৯। হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম তৎকালীন যুগে ইসরাঈলী সোসাইটি দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে এক বিবাহীত যুবতীর উপর আসক্ত হয়ে তাকে বিবাহ করার জন্য তার স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করেছিলেন (তাহফিমাত ২/৪২, ২য় সংস্করণ , নির্বাচিত রচনাবলী ২/৭৩ , আধুনিক প্রকাশনী ১ম প্রকাশ ১৯৯১ ইং) ২০। হযরত দাউদ আলাইহিসসালাম উনার কাজের মধ্যে নফস ও অভ্যন্তরীন কুপ্রবৃত্তির কিছুটা দখল ছিলো ( তাহফীমুল কুরআন উর্দু, ৪/৩২৭, সূরা রাদ এর তাফসীর , অক্টোবর ১৯৬৬, ১ম সংস্করণ ) ২১। রাসূলে করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নবুওয়তের ২৩ বছরের দায়িত্ব পালনে অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি করেছেন। (তাফহীমুল কোরআন: ১৯ তম খন্ড ২৯০ পৃষ্ঠা, আবদুল মান্নান তালিব অনুদিত) ২২। রাসূল না অতিমানব না মানবীয় দুর্বলতা থেকে মুক্ত। তিনি যেমন খোদার ধনভান্ডারের মালিক নন, তেমনি খোদার অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী নন বলে সর্বজ্ঞও নন। তিনি অপরের কল্যাণ বা অকল্যাণ সাধন তো দূরে, নিজের কোন কল্যাণ বা অকল্যাণ করতেও অক্ষম। (সূত্র: লন্ডনের ভাষণ: সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী, মুদ্রণে: অরিয়েন্টাল প্রেস, ১৩, কারকুনবাড়ি লেন, ঢাকা। প্রথম মুদ্রণ ১১ অক্টোবর, ১৯৭৬ ইং) ২৩। দাজ্জাল কখন কোথায় আবির্ভূত হবে হযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানানো হয়নি। তিনি দাজ্জাল সম্পর্কে যা বলেছেন- প্রকৃতপক্ষে তা তাঁর কাল্পনিক ও অনুমান মাত্র। এ ব্যাপারে তিনি নিজেও সন্দিহান ছিলেন। (সূত্র:তরজুমানুল কোরআন- পৃষ্ঠা ৪৬) ২৪। আলেম ব্যক্তির জন্য ‘তাক্বলীদ’ বা মাযহাব গ্রহণ কবীরা গুনাহ; বরং তার চেয়েও জঘন্য। (ইসলামী রেনেঁসা আন্দোলন) ২৫। কোন নবী বা অলীর মাজার জেয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করা হারাম (ইবনে তাইমিয়া, মওদুদী ও মৌং আবদুর রহীম) ২৫। কোরআন বুঝার জন্য কোন তাফসীরের প্রয়োজন নেই। একজন দক্ষ প্রফেসরই যথেষ্ট। (তানক্বীহাত, পৃষ্ঠা ৩১২) ২৬। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আরবের মধ্যে যে বিশেষ সফলতা অর্জিত হয়েছে, তার কারণ এটাই ছিল যে, তাঁর ভাগ্যে আরবের উত্তম মানবীয় পূঁজি জোটে ছিল। তিনি যদি সাহসহীন, দুর্বল ইচ্ছা শক্তি সম্পন্ন অযোগ্য মানুষের দল পেতেন তারপরও কি এ সফলতা অর্জন হতো? (তাহরীকে ইসলামী কি আখলাকী বুনিয়াদী, পৃষ্ঠা: ১৭) ২৭। ইসলাম কোন ধর্ম নয়, বরং জিহাদের নাম। নামায কোন ইবাদাত নয় বরং জিহাদের ট্রেনিং মাত্র। (নামাযের হাকীকত: মওদুদী) আলেমরা প্রশ্ন তোলেন- এমন আকিদা কি কোন মুসলিম ব্যক্তি পোষণ করতে পারে? এরা কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়? এরা পবিত্র ধর্ম ইসলামের নাম ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারণা করছে যুগ যুগ ধরে।

