বিএনপি দমনে আসছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট–টু’ ধাঁচের যৌথ অভিযান; যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে আইএসআই-লিঙ্কড বিতর্কিত কর্মকর্তা
গোপন বৈঠকে সিদ্ধান্ত: দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে গ্রেপ্তার অভিযান
 
					 দেশের রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টির ইঙ্গিত মিলেছে। ইউনুস প্রশাসন বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করে তথাকথিত গণভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার পথ সুগম করতে কঠোর দমনমূলক যৌথ অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভ্যন্তরীণ মহলে এই উদ্যোগকে ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট–টু’ নামে অভিহিত করা হচ্ছে। আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত ইউনুসের বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর বাসভবনে এক অত্যন্ত গোপন বৈঠকে এই কৌশল চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব। আলোচনার মূল বিষয়: বিএনপিকে নিস্ক্রিয় করা বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন গণভোট ঠেকাতে বিএনপির আন্দোলন দমন-সংক্রান্ত কৌশল নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। ইউনুস গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পেরেছেন, বিএনপি এখন আর রাজনৈতিক আশ্বাস বা চালবাজিতে আস্থা রাখছে না। দলটি বরং রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করে ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত নির্বাচন আদায় এবং সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিএনপি যাতে কোনোভাবেই ইউনুস প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য ২০০২ সালের ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর ধাঁচে একটি যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হবে। অভিযানের লক্ষ্য স্পষ্ট—বিএনপিকে নিউট্রালাইজ করে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করা। ইউনুস প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিএনপি যখন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছে, এটাই গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনার উপযুক্ত সময়। ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভাঙচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির পুরোনো অভিযোগ তুলে দেশজুড়ে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হবে। দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে অভিযোগ করতেন যে প্রশাসন কেন তাদের দলের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করছে না। ইউনুস প্রশাসন এতদিন নিশ্চুপ থাকলেও, এখন বিএনপির রাজনৈতিক সক্রিয়তাকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে চলেছে। যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে বিতর্কিত ব্রিগেডিয়ার এই অভিযানের নেতৃত্ব দেবে যৌথবাহিনী। অভিযান পরিচালনার জন্য সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জামাতি উইংয়ের প্রধান, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস. এম. কামরুল হাসানের ঘনিষ্ঠ এবং পাকিস্তানের আইএসআই-লিঙ্কড ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদেকুজ্জামানকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। মাঠপর্যায়ে যৌথবাহিনীর প্রয়োজন অনুযায়ী সেনা মোতায়েন ও সমন্বয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও তার ওপর অর্পিত হয়েছে। একজন আইএসআই-লিঙ্কড এবং বিতর্কিত কর্মকর্তার হাতে এমন স্পর্শকাতর অভিযানের নেতৃত্ব যাওয়ায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। অভিযান শুরুর প্রাথমিক ইঙ্গিত অভিযান দ্রুত শুরু হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে দুটি সাম্প্রতিক ঘটনা থেকে: ১. মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত: বিএনপির সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানোর ঘটনাকেই এই কঠোর পদক্ষেপের প্রথম তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২. রাউজানে অস্ত্র উদ্ধার: আজ চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা (যিনি অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত) এর বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। প্রশাসন এই ঘটনাগুলোকে ব্যবহার করে বিএনপির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগকে জোরালো করতে চাইছে।

