ঢাকায় মার্কিন কমান্ডো খুন: মোদি ও পুতিনকে হত্যার ভয়াবহ চক্রান্ত ফাঁস!

মার্কিন স্পেশাল ফোর্সেস অফিসারকে হত্যা করল রাশিয়ার গোয়েন্দারা; লক্ষ্য ছিল ভারত ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের নি*ধন

৩০ অক্টোবর, ২০২৫ | ১১:৪১ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক মহলে এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের পর্দা উন্মোচিত হয়েছে, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ঢাকা এবং ভারত-রাশিয়ার শীর্ষ নেতৃত্ব। গত ৩১ আগস্ট ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে নিহত হন মার্কিন স্পেশাল ফোর্সেস অফিসার টেরেন্স আরভেল জ্যাকসন। চাঞ্চল্যকর গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, জ্যাকসনকে হত্যা করেছে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে—জ্যাকসনের প্রধান লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে অবস্থান করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নি*ধন করা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সিআইএ (CIA) জ্যাকসনকে দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে ভারতে স্পেশাল অপারেশনের জন্য নিয়োগ করেছিল। এই অপারেশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতে সরকার পরিবর্তন করা এবং প্রয়োজনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা। এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জ্যাকসনকে বাংলাদেশের কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান ব্যবহার করে মোদি ও পুতিনের ওপর আক্রমণের ছক কষতে বলা হয়। এই চক্রান্তের খবর ফাঁস হওয়ার পর আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন আসে। ‘অর্গানাইজার’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংহাই কোঅপারেশনের বৈঠক চলাকালীন নরেন্দ্র মোদি ও ভ্লাদিমির পুতিন একসঙ্গে ৪৫ মিনিট একই গাড়িতে সময় কাটান। জানা যায়, এই ৪৫ মিনিটের বৈঠক মোদির পূর্বনির্ধারিত সূচিতে ছিল না। সিআইএ-র চক্রান্ত এবং আততায়ীদের সম্ভাব্য হামলা এড়াতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য অত্যন্ত গোপনে এই জরুরি বৈঠকটি ঠিক করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই সময়েই দুই বিশ্বনেতা জ্যাকসনের ষড়যন্ত্র এবং নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর আলোচনা করেন। মোদির ক্ষোভ প্রকাশ সিআইএ-র পুরো পরিকল্পনার কথা জানার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন এবং ক্ষুব্ধ ছিলেন, তার প্রমাণ মেলে ২ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ফিরে তাঁর বক্তব্যে। এক সম্মেলনে তিনি হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে প্রশ্ন করেন, "আপনারা হাততালি কেন দিচ্ছেন? আমি চীনে গিয়েছিলাম বলে? না আমি চীন থেকে ফিরে এসেছি বলে?"—পর্যবেক্ষকদের মতে, এই বক্তব্য তাঁর মানসিক চাপ এবং ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভের ইঙ্গিত দেয়। নিহত হওয়ার আগে মার্কিন কমান্ডার টেরেন্স আরভেল জ্যাকসনের গতিবিধি ছিল রহস্যময়। তিনি একাধিকবার কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সফর করেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তাদের অস্ত্র ট্রেনিংও পরিদর্শন করেন। কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত সেন্টমার্টিন দ্বীপেও তিনি ভ্রমণ করেন। এই সমস্ত কার্যকলাপই তাঁর বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত, সিআইএ-র এই হাই-প্রোফাইল চক্রান্ত ভেস্তে যায়। ৩১ আগস্ট ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে মার্কিন স্পেশাল ফোর্সেস অফিসার টেরেন্স আরভেল জ্যাকসনকে রাশিয়ার পেশাদার গোয়েন্দা বাহিনী হ*ত্যা করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।