মধ্যনগরে আওয়ামী লীগ অফিস পুড়িয়ে দিলো জামায়াত বিএনপি
মধ্যনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক বর্বরোচিত ও পরিকল্পিত অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত রাতে সংঘটিত এই হামলায় অফিসটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের জন্য সরাসরি বিএনপি ও জামায়াতকে দায়ী করেছেন, এটিকে "গণতন্ত্র ও শান্তির চরম শত্রুতা" এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যকলাপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। পরিকল্পিত নাশকতা: পুড়ে ছাই দলীয় ইতিহাস প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসটিতে দুষ্কৃতকারীরা গভীর রাতে আগুন লাগায়। পরিকল্পিতভাবে লাগানো এই আগুনে অফিসের ভেতরের মূল্যবান দলীয় নথি, সাংগঠনিক সম্পদ, এবং সংগঠনের দীর্ঘদিনের ইতিহাস সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, এই ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড শুধু রাজনৈতিক সম্পত্তি ধ্বংসের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এর উদ্দেশ্য ছিল দলীয় ঐতিহ্য এবং সাংগঠনিক ভিত্তি বিচ্ছিন্নভাবে মুছে ফেলা। তারা বলছেন, এটি একটি পরিষ্কার ইঙ্গিত যে যারা এই কাজটি করেছে, তাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র ক্ষমতা নয়, বরং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট করা। বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী মানসিকতার’ অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দাবি করেছেন যে এই জঘন্য আগুনের নেপথ্যে রয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, বিএনপি ও জামায়াত দেশবিরোধী ও সন্ত্রাসী মানসিকতা নিয়ে দেশের শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলা নষ্ট করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়: "মধ্যনগরের এই আগুন প্রমাণ করে, বিএনপি ও জামায়াত গণতন্ত্র ও শান্তির চরম শত্রু। তাদের রাজনৈতিক লোভ, ক্ষমতার অন্ধ উৎসাহ এবং বর্বর সন্ত্রাসী মানসিকতা এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের জন্ম দিয়েছে। আমরা মনে করি, এই কর্মকাণ্ড শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নয়, বরং এটি সুস্পষ্ট রাষ্ট্রদ্রোহী উদ্দেশ্যে সংঘটিত হয়েছে।" আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করা হয় যে, বিরোধী এই দলগুলো বর্বর দুষ্কৃতিকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং তাদের কার্যক্রম দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য চরম হুমকি। এই ধ্বংসাত্মক ঘটনা মধ্যনগর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঘটনাটির দ্রুত ও কঠোর তদন্ত দাবি করেছেন। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যারা এই ন্যাক্কারজনক আগুনের সাথে জড়িত, সেই বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের চিহ্নিত করে দ্রুততম সময়ে তাদের গ্রেফতার এবং কঠোরতম শাস্তির আওতায় আনতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের দেশবিরোধী ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করা যায়।
