জয়ের সাক্ষাৎকার কী হবে আওয়ামী লীগের ?

২৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ১০:০৬ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাক্ষাৎকার পড়েছি। অনেক বিষয়ে কথা বলতে তিনি কোনো রাখঢাক রাখেননি। এর আগে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারও পড়েছি। তিনিও ভালো বলেছেন। এই প্রজন্মের নেতাদের কাছে সহনশীলতাই আশা করি। জয় আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। বাস্তবে আওয়ামী লীগ কি ফিরতে পারবে? ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর অত কিছু না বুঝা বঞ্চিত মানুষগুলো আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে দল ও আদর্শের পক্ষে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙা, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান তারা মেনে নিতে পারেনি। আর মানতে না পারার কারণেই তারা প্রতিবাদ করছে, জেল-জুলুম সহ্য করছে। আওয়ামী লীগের এমন বিপর্যয় অতীতেও হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরও আলোচনা ছিল, আওয়ামী লীগ কি ফিরতে পারবে? ১৫ আগস্টের পর ঢাকায় আওয়ামী লীগ প্রথম মিছিল করে নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি ফুল দিতে গিয়ে ছাত্রনেতারা মবের শিকার হন।সেই দিন কবি জসীমউদ্দীন আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন। মুজিব হত‍্যা তিনি মানতে পারেননি। ১৯৭৬ সালের ৪ আগস্ট রাজনৈতিক দল গঠনের নীতিমালা ‘পিপিআর’ প্রকাশিত হয়। আওয়ামী লীগ ১৯৭৬ সালের ৪ নভেম্বর সরকারি অনুমোদন লাভ করে। অস্থায়ী সভাপতি হন মহিউদ্দিন আহমেদ এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। সেই দিন কমিটি গঠনের আগে মিজানুর রহমান চৌধুরীর বাড়ির ছাদে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৭ সালের ৪ এপ্রিল দলের বর্ধিত সভায় সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিনকে আহ্বায়ক করা হয়। যুগ্ম আহ্বায়ক হন মিজান চৌধুরী ও মোল্লা জালাল উদ্দীন। ১৯৭৮ সালের কাউন্সিলে আবদুল মালেক উকিল সভাপতি এবং আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মিজান চৌধুরী সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন। তিনি নির্বাচিত না হতে পেরে নিজে সভাপতি এবং অধ্যাপক ইউসুফ আলীকে সাধারণ সম্পাদক করে ‘পাল্টা আওয়ামী লীগ’ গঠন করেন। অধ্যাপক ইউসুফ আলী বিএনপিতে যোগ দিলে রংপুরের মতিউর রহমান ‘আওয়ামী লীগ (মিজান)’ এর সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা সভাপতি এবং আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৮৩ সালে প্রেসিডিয়াম সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকসহ বহিষ্কৃত নেতারা ‘বাকশাল’ গঠন করেন। অপরদিকে মিজান আওয়ামী লীগ ১৯৮৩ সালে জনদলে যোগ দেয়। তখন কেউ কেউ আবার মূল আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। এবারকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্রশ্নে কর্মীরাই এখন মাঠে। এখানে নেতা নেই; সিদ্ধান্ত কর্মীরাই নেয়। তারা আগের বিতর্কিতদের দেখতে চায় না। আত্মীয়করণ বা পরিবারকরণ শুনতেও চায় না। তারা চায় মাঠের পছন্দের নেতৃত্ব ।চাপিয়ে দেওয়া কিছু নয়। সেটা কীভাবে, কবে হবে, তারা জানে না। তবে বিশ্বাস করে, আওয়ামী লীগ ফিরবে।সকল ভুল থেকে শিক্ষা নিবে।