ফেনীতে টেন্ডার না পেয়ে প্রকৌশলীর উপর বিএনপি নেতার হামলা-ভাংচুর
ফেনীতে একটি প্রকল্পের টেন্ডার না পেয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির উদ্দিনের উপর হামলা ও অফিস ভাংচুর করেছে জেলা বিএনপির সদস্য কামরুল হাসান মাসুদ। সোমবার সন্ধ্যায় ফেনী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। জানাগেছে , বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পৌরসভার ড্রেন, ফুটপাত ও সড়ক মেরামতের জন্য ২৮ কোটি ৭৬ লাখ বরাদ্দ দেয়া হয়। যা ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইন ইজিপিতে সম্পন্ন হয়েছে। অনলাইনে আবেদন করে উক্ত কাজ পায় ঢাকাস্থ প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। সোমবার পৌরসভার সাথে ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কন্ট্রাক্ট ফরমে (নোয়া) সাক্ষর হওয়ার কথা। দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে প্রথমে (গত বৃহস্পতিবার) ওই কোম্পানীর সাথে কন্ট্রাক্ট করতে প্রকৌশলীকে বারণ করেন জেলা বিএনপির সদস্য কামরুল হাসান মাসুদ। তিনি জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এবং রামপুরের বাসিন্দা ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন দুলালের ছোট ভাই। এতে কর্ণপাত না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সন্ধ্যায় অফিসে গিয়ে প্রকৌশলীর উপর হামলা করেন মাসুদ। এসময় তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ভাংচুর এবং দপ্তরের নথিপত্র ছুড়ে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে ফেনী থানার উপ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারি মাসুদ পালিয়ে যান। ভুুক্তভোগি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির উদ্দিন বলেন, ড্রেণ, ফুটপাত ও রাস্তার ২৮ কোটি টাকার টেন্ডারটি ঢাকার কোম্পানী কেন পেলো, এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর হামলা করেছে। অফিসে ভাংচুর করেছে। ১০০ দলীয় লোকজন এনে অফিসে হত্যার হুমকি দিয়েছে। পৌরসভার ঠিকাদার সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের কথা শুনেছি। আমরা বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছি। ফেনী থানার ওসি শামসুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মো. বাতেন বলেন, ইজিপির ওটিএম পদ্ধতিতে টেন্ডার হয়েছে। সর্বনিম্ম দরদাতা কাজ পেয়েছেন। এতে পৌরসভার কিছুই করার নেই। না বুঝে ঠিকাদার কামরুল হাসান অফিসে হামলা করেছে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক পুলিশ সুপার ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে। শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এভাবে চলতে থাকলে পৌরসভার উন্নয়ন থমকে যাবে। বরাদ্দ ফিরে যাবে।
