‘ক্যাঙারু কোর্ট’ নয় ট্রাইব্যুনাল, কোনো অস্বচ্ছতা নেই: বিতর্কের জবাব দিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী
বর্তমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে এবং এটি কোনো ‘ক্যাঙারু কোর্ট’ নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার পেশাগত বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপনের তীব্র নিন্দা জানান তিনি। ট্রাইব্যুনালের বিচারিক স্বচ্ছতা নিয়ে জানতে চাইলে আমির হোসেন বলেন, "যারা ক্যাঙারু বলেন এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমি মনে করি না অস্বচ্ছতার কোনো কিছু আছে। কারণ এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের কোনো পক্ষ আমাকে কোনোভাবে চাপ দেয়নি। কেউ বলেননি যে, এটা বলবেন না, এটা করবেন না। অতএব এই কোর্ট ক্যাঙারু কিনা এই প্রশ্নের জবাব দেবো না। আমি মনে করি না যে, এই কোর্ট কোনো ক্যাঙারু। কারণ আমাকে কেউ কোনো বাধার সৃষ্টি করেনি।" ভাইরাল বক্তব্যের ব্যাখ্যা সম্প্রতি আদালতে দেওয়া তার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাজেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে আমির হোসেন বলেন, তিনি নিন্দা জানাতে এসেছেন। তিনি জানান, লার্নেড কোর্ট (ট্রাইব্যুনাল) তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তিনি সাংবাদিকদের কাছে কীভাবে বললেন যে তার আসামি খালাস পাবেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি কোর্ট লর্ডশিপদের ব্যাখ্যা দেন। আমির হোসেন বলেন, "সাংবাদিকরা যখন আমাকে প্রশ্ন করেন- আপনার আসামির কনসিকুয়েন্স বা প্রত্যাশা কি। সেক্ষেত্রে আমি এ কথা বলেছি। এটা আমার প্রফেশনাল দায়িত্ব।" তিনি আরও যুক্তি দেন, "আমি যদি বলি আমার আসামি খালাস পাবেন না সেটা কি সঠিক হবে? সেটা কি বলতে পারি? এটা বললে লার্নেড কোর্ট আমাকে যে নিয়োগ দিয়েছেন, দেশের মানুষ মনে করবে এমন আইনজীবী দিলাম যিনি আসামির ফাঁসি বা সাজা হবে বলছেন।" আমির হোসেন জানান, এই প্রসঙ্গে দু-একটা কথা নিয়ে আদালতে মৃদু হাসাহাসি হলেও এক শ্রেণির অসাধু ইউটিউবাররা সেই ক্লিপটি বাজেভাবে উপস্থাপন ও বিকৃত করেছে। ভবিষ্যতে এমন কোনো কথা বিকৃত করে প্রকাশ না করার জন্য তিনি গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় চলা সরাসরি সম্প্রচার থেকে কেটে নেওয়া একটি ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল। বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বেশ কয়েকটি মামলায় স্টেট ডিফেন্স হিসেবে লড়ছেন এই আইনজীবী।
