বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

২৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:৩০ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের প্রতি চলমান মামলা ও হয়রানিমূলক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র (বৈছা) আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যাসহ মোট পাঁচটি মিথ্যা মামলায় তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না— সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। ২৬শে অক্টোবর, রোববার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এর আগে, ২৪শে জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল হককে মব সন্ত্রাস চালিয়ে নির্যাতন করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে । পরবর্তীতে তাকে জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত যাত্রাবাড়ীর ঘটনাসহ একাধিক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। একই সঙ্গে বেআইনি রায় দেওয়া এবং জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের একটি মামলাতেও তাকে জড়ানো হয়— যা আইন বিশেষজ্ঞদের মতে সুস্পষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানির শামিল বলে মনে করেন তারা। গত বছরের ২৫শে আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় বিএনপি নেতার দায়ের করা মামলাটির পর পরই অন্যান্য পুরনো অভিযোগ পুনরুজ্জীবিত করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আইনজীবী মহলে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় অবদান রাখা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে মামলার জালে ফাঁসানো, হয়রানি ও মবসন্ত্রাস চালানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। চলতি বছরের ১১ই আগস্ট খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিলের শুনানিতে হাইকোর্টে আওয়ামীপন্থি ও রাষ্ট্রপক্ষের কিছু আইনজীবীর সঙ্গে অন্যপক্ষের উত্তপ্ত বাকবিনিময় ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। মানবাধিকারকর্মী ও বিশিষ্ট নাগরিকরা বলছেন, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধান বিচারপতির প্রতি এ ধরনের মব সন্ত্রাস আচরণ আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করছে। তারা এ বি এম খায়রুল হকের প্রতি ন্যায্য ও সম্মানজনক আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন।