৯ বিলিয়ন ডলারের বিশাল বরাদ্দ: আরও শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী

২৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:২৭ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ভারতের প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিষদ প্রায় ৭৯ হাজার কোটি রুপি (প্রায় ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভাপতিত্বে বুধবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন অনুমোদনের আওতায় ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর জন্য উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হবে। এসব প্রকল্পের লক্ষ্য হলো তিন বাহিনীর সামরিক সক্ষমতা ও প্রতিরক্ষা অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী করা। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সেনাবাহিনীর জন্য অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে নতুন NAMIS (Tracked) Mk-II মিসাইল সিস্টেম, যা শত্রুপক্ষের সাঁজোয়া যান ও স্থল লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে সক্ষম। এছাড়া থাকবে Ground-Based Mobile ELINT System (GBMES), যা ইলেক্ট্রনিক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারিতে সহায়তা করবে। নৌবাহিনীর জন্য অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে অ্যামফিবিয়াস ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ডক (LPD), নতুন প্রজন্মের ৩০ মিলিমিটার নেভাল সারফেস গান, উন্নত লাইটওয়েট টর্পেডো ও স্মার্ট অ্যামুনিশন। এসব সরঞ্জাম ভারতের সমুদ্র প্রতিরক্ষা ও নৌ অপারেশন সক্ষমতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে। বিমানবাহিনীর জন্য আধুনিক সরঞ্জাম, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অস্ত্রসজ্জা উন্নত করার পরিকল্পনাও এই অনুমোদনের অন্তর্ভুক্ত। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসব প্রকল্পের অধিকাংশই “মেক ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগের আওতায় দেশীয়ভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এতে দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রসার ঘটবে, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং বিদেশি আমদানির ওপর নির্ভরতা কমবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতীয় সরকার প্রতিরক্ষা খাতে দেশীয় উৎপাদন জোরদারে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। সীমান্তে নিরাপত্তা পরিস্থিতি, প্রতিবেশী দেশগুলোর সামরিক আধুনিকায়ন ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় এই সিদ্ধান্তকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। DAC অনুমোদনের পর এখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বাহিনী কর্তৃপক্ষ ক্রয় প্রক্রিয়া, উৎপাদন, চুক্তি স্বাক্ষর ও সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করবে। বাস্তবায়নের সব ধাপ সম্পন্ন হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নতুন এসব অস্ত্র ও প্রযুক্তি ভারতীয় বাহিনীর হাতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।