বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা: ১০০ মিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র মোতায়েন পরিকল্পনা আরকান আর্মির

২৬ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭:২৫ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় আরাকান আর্মি ব্যাপক সামরিক শক্তিবৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকান (ইউএলএ)-র অধীনে কার্যকর এই সশস্ত্র গোষ্ঠী মংডু এবং বুথিডং উপজেলায় সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অত্যাধুনিক অস্ত্র, নজরদারি ব্যবস্থা এবং সামরিক লজিস্টিক সরঞ্জাম ব্যবহার করবে বলে স্থানীয় এবং নিরাপত্তা সূত্রগুলো জানিয়েছে। স্থানীয় এবং নিরাপত্তা সূত্রের মতে, এএ নেতৃত্ব বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অপারেশনাল জোনগুলোকে দুর্গের মতো শক্তিশালী করার ঘোষণা দিয়েছে। এই পরিকল্পনার মূল কারণ হলো সীমান্ত পারাপার উত্তেজনা, যাতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সাথে জড়িতরা, যারা বাংলাদেশ ভূখণ্ড থেকে কার্যক্রম চালাচ্ছে। আরাকান আর্মির নেতৃত্ব এই ঘটনাগুলোকে সীমান্ত অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ এবং কৌশলগত স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে। প্রতিবেদন অনুসারে, এই শক্তিবৃদ্ধির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম, ভারী মর্টার, নাইট-ভিশন সরঞ্জাম এবং যোগাযোগ অবকাঠামো। এগুলোর মাধ্যমে মংডু-বুথিডং বেল্টকে আরাকান আর্মির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধীন উচ্চ নিরাপত্তা জোন রূপান্তরিত করা হবে। এই উদ্যোগ মিয়ানমারের সবচেয়ে অস্থির সীমান্তগুলোর একটিতে এএ-র সামরিক অবস্থানকে রক্ষণাত্মক থেকে সক্রিয় প্রতিরোধমূলক কৌশলে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই অভূতপূর্ব সামরিক জমায়েত আরাকান আর্মির কৌশলগত অবস্থানে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়, যা সীমান্ত অঞ্চলে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। তবে, আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকরা সতর্ক করে বলছেন, এই মিলিটারাইজেশন মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের মধ্যে নিরাপত্তা গতিবিধিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। এর ফলে সীমান্ত পারাপার ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে এবং পশ্চিম রাখাইন রাজ্যের মিলিটারাইজড পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক নজরদারি তীব্র হবে। রোহিঙ্গা সংকটের প্রেক্ষাপটে এই উন্নয়ন দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে টেনশন বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা ইতিমধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবাহ এবং সীমান্ত নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জে জর্জরিত। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই অঞ্চলে শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য আরও সক্রিয় হতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।