ত্রিমুখী কৌশলে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হতে যাচ্ছে যুবলীগ

২৫ অক্টোবর, ২০২৫ | ৬:০৩ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ক্ষমতা পরিবর্তনের পর নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া কর্মীদের ছেঁটে যুবলীগকে চাঙ্গা করতে ত্রিমুখী কৌশল নিয়েছে সংগঠনটি। গত বছরের ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় কর্মীদের মূল্যায়ন, সাবেক ছাত্রনেতাদের পদায়ন এবং জেলা, উপজেলা, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নতুন কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুবলীগ। যুবলীগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের অনলাইন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এবং কেন্দ্রীয় কমিটির অন্য নেতারা। বৈঠকে মাঠের প্রতিকূল পরিস্থিতি ও সংগঠনকে সক্রিয় করার উপায় নিয়ে মতামত দেন তৃণমূলের নেতারা। যুবলীগের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, সরকারের পতনের পর দলীয় নেতাকর্মীদের অনেকেই মব সন্ত্রাস ও হয়রানিমূলক মামলার ভয়ে আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশত্যাগ করেন। দেশে থাকা কর্মীরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অপেক্ষায় ছিলেন। তবে প্রতিকূল পরিবেশেও কিছু ত্যাগী কর্মী মাঠে সক্রিয় ছিলেন। নতুন কৌশলের মাধ্যমে এই কর্মীদের পুরস্কৃত করা হবে এবং নিষ্ক্রিয়দের ছেঁটে ফেলা হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যেসব ইউনিটে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব শূন্য রয়েছে বা সম্মেলন হয়নি, সেসব স্থানে মাঠে সক্রিয় ত্যাগী কর্মী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের পদায়ন করা হবে। এরই অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলকে পূর্ণাঙ্গ সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৩শে নভেম্বর অনুষ্ঠিত যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া মাইনুল হোসেন নিখিলের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বাবুল। সভাসূত্রে জানা যায়, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর ওপর দমননীতি গ্রহণ করে। মব সন্ত্রাস, গণগ্রেপ্তার ও নির্যাতনের মাধ্যমে দলীয় কার্যক্রমে স্থবিরতা আসে। গত ১০ই মে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। দলটির শীর্ষ ও তৃণমূলের নেতারা মনে করেন, এই বৈরি রাজনৈতিক পরিবেশে যারা সংগঠনের সঙ্গে থেকেছেন, তাদের মূল্যায়ন এবং সাবেক ছাত্রনেতাদের সম্পৃক্ত করলেই যুবলীগকে আবারও সক্রিয় করা সম্ভব।