জি এম কাদের: ইউনূস সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়

২৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

বাংলাদেশ সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ইউনূস সরকারের একের পর এক বিতর্কিত, গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের কারণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। ২৩শে অক্টোবর, বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠকে অংশ নেয় আইআরআই প্রতিনিধি দল। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতি তুলে ধরে জি এম কাদের বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে দেশ-বিদেশে প্রশ্ন উঠেছে। তাই এই সরকারের অধীনে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম নাজুক, বেকারত্ব বাড়ছে, আর জনগণের আস্থা ক্রমেই কমছে। বৈঠকে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ও উপদেষ্টা মেজর (অব.) মো. মাহফুজুর রহমান। আইআরআই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির বোর্ড সদস্য ক্রিস্টোফার ফাসনার। তার সঙ্গে ছিলেন সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটির সিনিয়র ফেলো লিসা কার্টিস, রাজনৈতিক প্রক্রিয়া বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগান, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর স্টিভ সিমা, এনডিআই প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জেমি স্পাইকারম্যান, ও অন্যান্য সদস্যরা। দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। জি এম কাদের বলেন, যদি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়, তাহলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে না। বরং দেশের অর্থনীতি আরও বিপর্যস্ত হবে, দুর্ভিক্ষ বা গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ‘গণভোটের উদ্যোগ অসাংবিধানিক’ জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, গত বছরের ৫ই আগস্ট বৈষম্যমুক্ত সমাজের যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল, তা বাস্তবে পরিণত হয়নি। বর্তমানে নিবন্ধিত ৫৫টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে মাত্র ২৫টি দলকে ঐক্যমত্য কমিশন আলোচনায় ডাকায় সরকার নিজেরাই নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানে গণভোটের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই এখন যদি ইউনূস সরকার গণভোটের মতো পদক্ষেপ নিতে চায়, তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক হবে। যদি জাতীয় প্রয়োজনে গণভোটের দরকার হয়, তা অবশ্যই সংসদে অনুমোদনের মাধ্যমেই হতে পারে।