সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হবে হোয়াইট হাউজের ইস্ট উইং

হোয়াইট হাউজের সম্পূর্ণ ইস্ট উইং কয়েক দিনের মধ্যেই ভেঙে ফেলা হবে বলে ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। সোমবার থেকেই নির্মাণকর্মীরা ভবনের কিছু অংশ ধ্বংসের কাজ শুরু করেছেন এবং সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই পুরো ইস্ট উইং ভেঙে ফেলা হবে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস-কে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এই পদক্ষেপটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রীষ্মে ঘোষিত একটি বৃহৎ নির্মাণ প্রকল্পের সম্প্রসারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি এর আগে বলেছিলেন, তার ২৫০ মিলিয়ন ডলারের (প্রায় ১৮৬ মিলিয়ন পাউন্ড) “হোয়াইট হাউজ বলরুম” প্রকল্পটি “বর্তমান ভবনের কাজে ব্যাঘাত ঘটাবে না”। দুই শতাব্দী ধরে হোয়াইট হাউজ মার্কিন প্রেসিডেন্টদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইস্ট উইংটি প্রথম নির্মিত হয় ১৯০২ সালে এবং সর্বশেষ বড় সংস্কার করা হয় ১৯৪২ সালে। সোমবার সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, “অত্যন্ত প্রয়োজনীয়” এই বলরুমের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। তিনি লেখেন, “১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিটি প্রেসিডেন্ট চেয়েছেন হোয়াইট হাউজে একটি বড় বলরুম থাকুক, যাতে রাজকীয় অনুষ্ঠান, রাষ্ট্রীয় সফর এবং বড় পার্টি আয়োজন করা যায়।” ট্রাম্প দাবি করেন, ইস্ট উইং “পুরোপুরি আলাদা” একটি অংশ, যদিও এটি মূল ভবনের সাথে সংযুক্ত। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা সিবিএস-কে বলেন, ইস্ট উইং আধুনিকায়নের পরিকল্পনা আগেই ছিল, যাতে নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো যায়। কিন্তু পরিকল্পনার অগ্রগতিতে দেখা যায়, সম্পূর্ণ ইস্ট উইং ভেঙে নতুনভাবে নির্মাণই সবচেয়ে কার্যকর সমাধান। ট্রাম্প এই নির্মাণ প্রকল্পকে বর্ণনা করেছেন “আমার কানে সঙ্গীতের মতো” বলে। “আপনারা হয়তো পেছনে নির্মাণের সুন্দর শব্দ শুনছেন… আমি যখন সেই শব্দ শুনি, সেটা আমাকে টাকার কথা মনে করিয়ে দেয়,” তিনি মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে রিপাবলিকান সিনেটরদের উদ্দেশে বলেন। তবে ওয়াশিংটনভিত্তিক ঐতিহাসিক সংরক্ষণ সংস্থা ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর হিস্টরিক প্রিজারভেশন এক চিঠিতে হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তাদের সতর্ক করে জানিয়েছে যে তারা এই প্রকল্প নিয়ে “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন”। সংস্থাটি ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছে ধ্বংসকাজ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখতে এবং হোয়াইট হাউজের জাতীয় ঐতিহাসিক মর্যাদার কথা বিবেচনা করে বলরুম পরিকল্পনার বিষয়ে একটি জনপর্যালোচনা প্রক্রিয়া শুরু করতে।