সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যায় পূজারত সাংবাদিকের ওপর মব হামলা

সীতাকুণ্ডে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে মব সন্ত্রাসের মাধ্যমে মণ্ডপে পূজারত এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত-শিবির সম্পৃক্ত আসাদের সন্ত্রাসী বাহিনী। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই সাংবাদিককে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল ১৯শে অক্টোবর, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সীতাকুণ্ড পৌরসভার রেলগেট এলাকায় শ্যামাপূজা মণ্ডপের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাংবাদিক লিটন কুমার চৌধুরী (৪৫) দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রতিনিধি এবং সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়ি পৌরসদরের রেলগেট এলাকায়। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় সন্ত্রাসীরা লিটন কুমার চৌধুরীকে ঘিরে মারধর করছেন। এ সময় তাকে আওয়ামী লীগের দালাল বলে গালিগালাজ করা হয়। পুলিশ জানায়, মারধরের পর রক্তাক্ত অবস্থায় লিটন চৌধুরীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। লিটন চৌধুরীর ছেলে রাকেশ চৌধুরী বলেন, রাতে বাবা বাড়ির পাশে শ্যামা পূজার মণ্ডপে পূজা দিচ্ছিলেন। এ সময় কয়েকজন যুবক এসে তার উদ্দেশে গালাগাল করতে থাকে এবং হামলা চালায়। হামলাকারীরা বাবার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ কেড়ে নেয়। হামলায় বাবার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। বর্তমানে তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম ফোরকান আবু বলেন, মব তৈরি করে একজন সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। ভিডিও ফুটেজে হামলাকারীদের চেহারা স্পষ্ট দেখা গেছে। আমরা দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, শ্যামাপূজার মণ্ডপ থেকে ধরে নিয়ে সাংবাদিক লিটন কুমার চৌধুরীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে আসাদ বাহিনী। তার মোবাইল ও নগদ ৪৫ হাজার টাকাও ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আমরা আসাদসহ তার বাহিনীর অন্যান্য সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবি করছি। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজন যুবক সাংবাদিক লিটন চৌধুরীকে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।