টানা তৃতীয় দিনে শিল্পাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ড: সোনারগাঁওয়ে মেঘনা গ্রুপের চিনি কারখানায় আগুন

১৯ অক্টোবর, ২০২৫ | ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ — সোনারগাঁও এ মেঘনা গ্রুপের চিনি শিল্প কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যা টানা তৃতীয় দিনে চলমান শিল্প কারখানায় অগ্নিকান্ড। শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চিনি কারখানায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগে সোয়া তিন ঘণ্টার অদম্য লড়াইয়ের পর নিয়ন্ত্রণে আসে, কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনও হয়নি। এটি মিরপুরের পোশাক ও রাসায়নিক কারখানায় (১৪ অক্টোবর) এবং চট্টগ্রামের চিকিৎসা সরঞ্জাম কারখানায় (১৬ অক্টোবর) ঘটনার পর তৃতীয় ঘটনা। সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে সক্রিয় হয়েছে, যারা উপজেলার শিল্পনগরী মেঘনা এলাকায় অবস্থিত এই কারখানায় আগুনের সূত্রপাত রাত সাড়ে সাতটায় লক্ষ্য করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায়, কর্মীরা প্রথমে নিজেদের উদ্যোগে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়, যার ফলে ফায়ার সার্ভিসকে সতর্ক করা হয়। “আমরা তিনটি টিম নিয়ে টানা সোয়া তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি,” সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মো. ইয়াছিন আলী বলেন। তিনি যোগ করেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে জানা যাবে।” এই ঘটনা টানা তৃতীয় দিনের অগ্নিকাণ্ডের সিরিজে শিল্প খাতে নিরাপত্তা সচেতনতার অভাবকে তুলে ধরেছে। মিরপুরের ঘটনায় ১৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে এবং তিনজন আহত, যেখানে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চট্টগ্রামের সিইপিজেড-এর অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইলস কারখানায় ১৫টি ফায়ার ইউনিট সহ নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, কিন্তু শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ব্যবসায়িক সংগঠন এবং শ্রমিক নেতারা এসব ঘটনায় বৈদ্যুতিক সিস্টেমের নিয়মিত পরিদর্শন এবং জরুরি প্রস্তুতির দাবি জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার অফিস মিরপুরের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, এবং বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এমন ঘটনা আরও বাড়তে পারে যদি না কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সোনারগাঁওয়ের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চলমান, কিন্তু এই সিরিজের অগ্নিকাণ্ড শিল্পাঞ্চলে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।