৫ ঘন্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন, উল্টো বেড়েছে তীব্রতা: ইউনূস সরকারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন

১৯ অক্টোবর, ২০২৫ | ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট দীর্ঘ ঘণ্টা চেষ্টা করেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। আগুনের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে গেছে এবং ধোঁয়ার কারণে পুরো বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা কমে গেছে। বিমান ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা বলেন, আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বিমানবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলা ‘কুরিয়ার সার্ভিস’ এলাকা থেকে। প্রথম আগুন ছড়িয়ে পড়ার পরে ধীরে ধীরে অন্যান্য গুদামে ছড়িয়ে গেছে। দেশজুড়ে এই ধরনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আগুন লাগার পরও দ্রুত উৎপত্তিস্থলে পৌঁছানো যায়নি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার তৎপরতা সীমিত ছিল। কার্গো ভিলেজে থাকা পণ্য টনকে টন পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, তামিম এক্সপ্রেস লিমিটেডের আড়াই টন গার্মেন্টস পণ্য এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পণ্যের মধ্যে ছিল বাটন, জিপার, ফেব্রিক এবং লেবেল আইটেম। কার্গো ভিলেজে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে কুরিয়ার সার্ভিস, কেমিক্যাল ও গার্মেন্টস পণ্যের গুদামে। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট এখনও ঘটনাস্থলে কাজ করছে। ধোঁয়ার কারণে পুরো বিমানবন্দর এলাকায় দৃশ্যমানতা কমে গেছে। ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনের তীব্রতা রাত পর্যন্ত বেড়েছে। এর ফলে কার্যক্রমে ব্যাঘাত তৈরি হয়েছে এবং বিমান ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকারের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘক্ষণ ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়া স্বাভাবিকভাবে উদ্বেগজনক। নিরাপত্তা বিশ্লেষক আমিনুল হক বলেন, “শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বন্দর। এত বড় আকারের কার্গো এলাকা এবং বিপজ্জনক পণ্য থাকা সত্ত্বেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা এতক্ষণে সম্ভব হয়নি, এটা স্পষ্টভাবে প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিফলন। এই ধরনের পরিস্থিতি বিমানবন্দর পরিচালনা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উভয়ের জন্যই বড় হুমকি। সরকারের উচিত ছিল আগুন লাগার আগেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী তৎপর হওয়া। এখনই প্রশাসনকে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পণ্য ও ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়তার ব্যবস্থা নিতে হবে।”