আমেরিকান ফান্ড বন্ধ হওয়ায় এনজিওর শতাধিক প্রকল্প বাতিল, চাকরি গেল ২০ হাজার কর্মীর

বাংলাদেশে মার্কিন সংস্থা ইউএসএইড-এর অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন এনজিওর শতাধিক প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ বছর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত ২০ হাজার কর্মীর চাকরি চলে গেছে। আরও বেশ কিছু এনজিওর গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম স্থবির অথবা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কর্মহীনের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩০-৪০ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আজ ১৬ই অক্টোবর, বৃহস্পতিবার গণসাক্ষরতা অভিযান-এর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, কোভিড মহামারি, জলবায়ু পরিবর্তন ও যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী এবং উন্নয়ন সহযোগীদের বৈদেশিক সহায়তা তহবিলের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। যা বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর বা এনজিওদের উন্নয়ন উদ্যোগ ও মানবিক সহায়তা প্রকল্পগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। পত্রে আরও বলা হয়, শুধুমাত্র ইউএসএইড-এর সহায়তায় বাংলাদেশে পরিচালিত ১০০টির বেশি প্রকল্প বন্ধ হওয়ায় এ বছর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২০,০০০ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। বেশ কিছু এনজিওর গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম স্থবির অথবা বন্ধ হয়ে গেছে। চলমান এই অর্থায়ন সংকট উত্তরণে সম্ভাব্য সমাধান, করণীয় ও কৌশল খুঁজে বের করতে গণসাক্ষরতা অভিযান আগামী ১৮ই অক্টোবর শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকার আগারগাঁও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে মত বিনিময় সভার আয়োজন করেছে। ‘বৈশ্বিক ও অন্যান্য কারণে সৃষ্ট অর্থায়ন সংকটের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে ১/১১’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত গণসাক্ষরতা অভিযানের সহযোগী সংগঠনের দেড় শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন বলে পত্রে জানানো হয়।