চাঁদাবাজি করার সময় জনতার হাতে আটক বৈছার দুই কেন্দ্রীয় নেতা

খুলনা খাদ্য বিভাগের ওএমএস পয়েন্টে চাঁদাবাজি করার সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র (বৈছা) আন্দোলনের দুই সমন্বয়ককে আটক করেছে পুলিশ। আজ ১৪ই অক্টোবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহানগরীর খালিশপুর বাস্তুহারা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আটক দুই চাঁদাবাজ হলেন- বৈছার খুলনার যুগ্ম আহ্বায়ক আশিকুর রহমান ও যুগ্ম সদস্য সচিব সৈয়দ আব্দুল্লাহ সিকি। সৈয়দ আব্দুল্লাহ সিকি নগরীর বাগমারা এলাকার বাসিন্দা মুরাদ আলীর ছেলে এবং আশিকুর রহমান একই এলাকার বাসিন্দা আজমলের ছেলে। জানা গেছে, আশিক ও আব্দুল্লাহ নগরীর খালিশপুর বাস্তুহারা মোড়ে খাদ্য বিভাগের ওএমএস-এর ডিলার আবুল কালাম আজাদের প্রতিষ্ঠান খান ট্রেডার্সে গিয়ে কাছে চাঁদা চান। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। বর্তমানে তারা খালিশপুর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। দুই চাঁদাবাজকে পুলিশে দেওয়ার সময় সেখানে খাদ্য বিভাগের উপ-খাদ্য পরিদর্শক শাকিব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। ওএমএস ডিলার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা ১৫ জন নতুন ডিলার নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই তারা চাঁদা দাবি করে আসছে। গত সপ্তাহেও ১ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। ওদের দাবি প্রতি সপ্তাহে ৫ হাজার টাকা। এটা না দিলে হুমকি দিতো। আজও এসে টাকা দাবি করে। এরপর উপস্থিত গ্রাহকরা তাদের ধরে পুলিশে তুলে দেয়। খাদ্য বিভাগের উপ-খাদ্য পরিদর্শক শাকিব আহমেদ বলেন, চাঁদা দাবি করার সময় জনতা হাতেনাতে দুই বৈছা নেতাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় আমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। বৈছার খুলনা মহানগরের সদস্য সচিব জহিরুল তানভীর বলেন, চাঁদাবাজির সময় আটক দুজন নানা অনিয়মের অভিযোগে কমিটি থেকে বহিষ্কৃত ছিলেন। এখন তো কমিটিও নেই। তাদের অন্যায়ের দায়ভার সংগঠন মেনে নেবে না। এ ধরনের চাঁদাবাজিসহ অন্যায় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ আশা করেন তিনি। খালিশপুর থানার ওসি (তদন্ত) মুরাদ হোসেন বলেন, বাস্তুহারা মোড়ে ওএমএস ডিলারের দোকানে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আটক দুই যুবক চাঁদা দাবি করলে স্থানীয়রা তাদের ধরে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ পরে তাদের থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ডিলার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে আটক দুই জনের নামে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন। আটককৃতদের নামে আর কোনও থানায় মামলা আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।