অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন বনাম অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন: পার্থক্য কী?

১২ অক্টোবর, ২০২৫ | ১১:১২ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগের শাসনামলে সব নির্বাচনই ছিল অন্তর্ভুক্তিমূলক (inclusive), কারণ বিএনপিকে কখনো জোরপূর্বক নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। তবে কিছু নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক (participatory) হয়নি—তা আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো বাধার কারণে নয়, বরং একটি বড় রাজনৈতিক দল, বিএনপি, স্বেচ্ছায় নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলেই। প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো এমন একটি উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করা, যেখানে সব দলই অবাধে অংশগ্রহণ করতে পারে। সরকার প্রশাসনিকভাবে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করতে পারে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দিতে পারে, কিন্তু কোনো দল যদি স্বেচ্ছায় অংশ না নিতে চায়, তবে সরকার জোর করে তাকে অংশগ্রহণে বাধ্য করতে পারে না—যেমনটি বিএনপির ক্ষেত্রে হয়েছে। সুতরাং আওয়ামী লীগের আমলে কোনো দলকে বাদ দেওয়া হয়নি, এবং সব নির্বাচনই অন্তর্ভুক্তিমূলক ছিল। অন্যদিকে, ইউনূস বর্তমানে একটি স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক নয় (non-inclusive) এমন নির্বাচন আয়োজনের পথে এগোচ্ছে, যেখানে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগে, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলকে জোরপূর্বক নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে—তবুও ইউনূস এই নির্বাচকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে “অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন” বলে দাবি করছে, যা সম্পূর্ণ ভন্ডামি মূলক একটি দাবি। ইউনূস প্রশাসন যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তার তুলনায় আওয়ামী লীগের আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো ছিল অনেক বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বৈধ। লেখক: মোহাম্মদ আলী আরাফাত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।