এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়াতে লিগ্যাল নোটিশ

৯ অক্টোবর, ২০২৫ | ১১:০৬ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা ও অন্যান্য চাকরিসংক্রান্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া এ নোটিশ পাঠান। নোটিশটি শিক্ষা সচিব, আইন সচিব, অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে । নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারী কর্মরত। ২০০৬ সাল থেকে তারা সরকারি কোষাগার থেকে শতভাগ বেতন পেলেও বাড়িভাড়া ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। অথচ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী এসব সুবিধা ভোগ করছেন। ‌‘মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া, এটি অবমাননাকর’ নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য মাত্র ৫০০ টাকা বাড়িভাড়া ভাতা নির্ধারণ করে, যা বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে অত্যন্ত অসম্পূর্ণ ও শিক্ষক সমাজের প্রতি অবমাননাকর আচরণ। এটি সংবিধানের ২৭ (সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান), ২৯ (চাকরিতে সমান সুযোগ) ও ৩১ (আইনানুগ নিরাপত্তা) অনুচ্ছেদের পরিপন্থি বলেও উল্লেখ করা হয়। নোটিশদাতা আইনজীবী বলেন, ‘অন্যান্য সরকারি চাকরিজীবীরা যেখানে জাতীয় বেতন স্কেলের অনুযায়ী বাড়িভাড়া পাচ্ছেন, সেখানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত। এটা একটি বৈষম্যমূলক, অবিচারমূলক এবং আমলাতান্ত্রিক ষড়যন্ত্র।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশ জাতীয় নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, ঠিক এই সময় শিক্ষক-কর্মচারীদের রাস্তায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য করা অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করবে।’ ৩ দিনের আল্টিমেটাম নোটিশে আগামী তিন দিনের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয় পে স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী বেতনের আনুপাতিক হারে বাড়িভাড়া ভাতা নির্ধারণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরেই এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তবে সরকার এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ দাবি মেনে নেয়নি। নতুন করে আইনি চাপের ফলে বিষয়টি নতুন মোড় নিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।