গাজায় শান্তি চুক্তির ঘোষণা, বার্তা দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

গাজায় শান্তি চুক্তির ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার জন্য একটি ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে অভিহিত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) পাক প্রধানমন্ত্রী এক্সে (সাবেক টুইটার)-এ লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনায় যে নেতৃত্ব দেখিয়েছেন তা বিশ্ব শান্তির প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতির পরিচায়ক। তিনি কাতার, মিসর ও তুরকির নেতাদের দীর্ঘমেয়াদী ও সুবিবেচিত প্রচেষ্টাকেও স্বীকৃতি দিয়েছেন। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ যেসব চরম কষ্ট ভোগ করেছে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এমন কষ্ট যেন পুনরায় কখনো না ঘটে।’ তিনি মসজিদ আল-আকসায় সাম্প্রতিক উত্তেজনার বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এ ধরনের ঘটনাকে নিন্দা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বকে দায়ী পক্ষ—অধিকৃতিদার ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের—জবাবদিহি করতে হবে এবং যেকোনো পদক্ষেপ প্রতিরোধ করতে হবে যা শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ব্যাহত করতে পারে।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তান সহযোগী দেশ, মিত্র রাষ্ট্র এবং বন্ধু দেশগুলোর নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য শান্তি, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে, যা তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতিসংঘের প্রস্তাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার গাজা পরিকল্পনার প্রথম ধাপের চুক্তি স্বাগত জানিয়েছেন। এ ধাপে রয়েছে তৎক্ষণাৎ যুদ্ধবিরতি, বন্দিমুক্তি এবং গাজায় মানবিক সহায়তা অবাধ প্রবেশ। উপপ্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, কাতার, মিসর ও তুরস্কের নেতৃত্বকে প্রশংসা করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন চুক্তিটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদী শান্তির দিকে নিয়ে যাবে। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, পাকিস্তান সব সময় ফিলিস্তিনের স্বাধীন রাষ্ট্রের সমর্থন জানাবে, যা ১৯৬৭ সালের সীমারেখা অনুযায়ী হবে এবং আল-কুদস আল-শরিফ হবে তার রাজধানী।