৬৭ রানে ৭ উইকেট পতনে হয়নি চ্যালেঞ্জিং স্কোর

‘‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’’। বাক্যটি প্রবাদেই রয়ে গেলো। বাস্তবে করে দেখাতে পারেননি টাইগাররা। ইনিংসের শুরু এবং শেষ কোনোটাই ভালো হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। আফগানিস্তানের মতো এশিয়ার উঠতি দলের সঙ্গেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেননি মেহেদি হাসান মিরাজের নেতৃত্বাধীন দল। ইনিংসের শুরু এবং শেষের দিকে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে তিনশ ছুঁইছুঁই স্কোর গড়ার সুযোগ থাকলেও তা আর হয়নি। ইনিংসের শুরুতে ৫৩ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয়। এই জুটিতে চতুর্থ উইকেটে তাড়া ১০১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। একটা পর্যায়ে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৫৪ রান। তখন মনে হয়েছিল তিনশোর কাছাকাছি হয়তো হবে। কিন্তু এরপর রশিদ খানের গুগলিতে সব হিসেব-নিকেশ পাল্টে যায়। খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শেষ দিকে মাত্র ৬৭ রানে ৭ উইকেট পতনের কারণে ৫০ ওভারও খেলা সম্ভব হয়নি। ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে অলআউট। বুধবার আরব আমিরাতের আবু ধাবি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। দলীয় ২৫ রানে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫৩ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওপেনার সাইফ হাসান। ৫৩ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও মেহেদি হাসান মিরাজ। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ১৪২ বলে ১০১ রানের জুটি। ৩৫.১ ওভারে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১৫৪ রান। এরপর মাত্র ৮১ বলে ৬৭ রান যোগ করতেই বাংলাদেশ হারায় ৭ উইকেট। মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়েছেন হৃদয়। ৮৫ বল খেলে এক চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ রান করে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়। এরপর রশিদ খানের গুগলিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ, জাকের আলি অনিক ও নুরুল হাসান সোহান। ১০ ওভার তথা ৬০ বলে মাত্র ৩৮ রান খরচ করে মিরাজ, জাকের এবং নূরুল হাসান সোহানকে আউট করে বাংলাদেশের মিডলঅর্ডার ধসিয়ে দেন রশিদ খান। মিরাজ ৮৭ বলে এক চার আর এক ছক্কায় ৬০ রান করলেও ১৬ বলে ১০; আর ১৪ বলে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি জাকের আলি অনিক ও নূরুল হাসান সোহান। এরপর আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান না থাকায় শেষ দিকে ৩৪ বলও খেলতে পারেননি পেস বোলার হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব ও স্পিনার তানভির ইসলাম। শেষ দিকে একের পর এক উইকেট পতনের কারণে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।