সন্দেহ থেকে হিমাগারে ডেকে নিয়ে নারী নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৩

৮ অক্টোবর, ২০২৫ | ৫:২৫ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া এলাকার একটি হিমাগারের অফিস কক্ষে দুই নারীসহ তিনজনকে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হিমাগারের মালিকের ছেলেমেয়েসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। মঙ্গলবার সরকার কোল্ডস্টোরেজে এ ঘটনা ঘটে। হিমাগারের অফিসে ডেকে নিয়ে তাদের লাঠি, বাঁশ, হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয় এবং একপর্যায়ে শরীরে সেফটিপিন ফুটিয়ে নির্যাতন করা হয়। এয়ারপোর্ট থানার ওসি ফারুক হোসেন জানান, হিমাগারের মালিক রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সরকারের অফিস কক্ষেই এই নির্যাতন চালানো হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ জনতা ওই কোল্ডস্টোরেজে ভাঙচুর চালায়। এ সময় এলাকাবাসী মোহাম্মদ আলী সরকারের ছেলে আহসান উদ্দিন সরকার জিকো, মেয়ে আঁখি ও সহযোগী হাবিবাকে অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় এয়ারপোর্ট থানা-পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, তাদের পরিবারের সঙ্গে মোহাম্মদ আলী সরকারের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক ছিল। তবে তার ছেলেমেয়েরা বিষয়টি ভালোভাবে নিতেন না এবং সন্দেহ করতেন যে ওই নারীর সঙ্গে মোহাম্মদ আলীর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এই সন্দেহ থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে তাদের নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের শিকারদের মধ্যে এক তরুণ রাজশাহীর একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী। বাকি দুই নারী তার খালাতো বোন। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত তরুণের ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। নির্যাতনের শিকার ওই নারী জানান, মঙ্গলবার সকালে ফোন পেয়ে তিনি তার খালাতো ভাই ও ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে হিমাগারে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর মোহাম্মদ আলীর ছেলে আহসান উদ্দিন জিকো ও মেয়েরা তাদের ধাক্কা দিতে দিতে অফিস কক্ষে নিয়ে যান। পরে কর্মচারীদের সহায়তায় দরজা বন্ধ করে তাদের ওপর লাঠি, বাঁশ, হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হয় এবং মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। ওই নারী আরও অভিযোগ করেন, তাকে ও তার খালাতো বোনকে মোহাম্মদ আলীর দুই মেয়ে সারা শরীরে সেফটিপিন ফুটিয়ে নির্যাতন করেছেন। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে দরজা খুলতে বললেও শুরুতে খোলা হয়নি। পরে দরজা খুললে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার গাজিউর রহমান বলেন, “নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।