গাজা উপকূলে নৌবহর আটক ‘বেআইনি’: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গাজার উপকূলে একটি মানবিক সাহায্যবাহী নৌবহর আটকানোর ঘটনায় ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এটি ছিল আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এর উদ্দেশ্য ছিল গাজার প্রতি সংহতি প্রকাশের শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টাকে দমন করা। এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টির মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, “গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জাহাজে ইসরায়েলের জোরপূর্বক হস্তক্ষেপ এবং এর কর্মীদের আটক করা সম্পূর্ণভাবে এক নির্লজ্জ আক্রমণ। এটি ছিল একটি শান্তিপূর্ণ মানবিক মিশন, যা অবরুদ্ধ গাজায় সংহতি ও সহায়তা পাঠানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছিল।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ইসরায়েলি বাহিনী এই নৌবহরের বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ ধরে হুমকি, উস্কানি এবং নাশকতার চেষ্টার পর হামলা চালিয়ে জাহাজটি জব্দ করে। অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়, “যেসব জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে, তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য সক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দিয়ে এবং দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে ইসরায়েল আবারও আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আইনগত বাধ্যবাধকতার প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে।” গাজার মানবিক সংকট প্রসঙ্গে সংস্থাটি বলেছে, একজন দখলদার শক্তি হিসেবে ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব ছিল যথেষ্ট খাদ্য, ওষুধ ও মানবিক সহায়তা প্রবাহ নিশ্চিত করা। কিন্তু বরং সে দায়িত্ব পালনের বদলে, ইসরায়েল প্রতিনিয়ত সেসব রোধ করছে। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হলো এক আন্তর্জাতিক সংহতি প্রচেষ্টা, যার মাধ্যমে বেসামরিক ও মানবিক কর্মীরা অবরুদ্ধ গাজার জনগণের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইসরায়েল সেটিকে সামরিকভাবে প্রতিহত করে, যার ফলে নৌবহরের কয়েকজন কর্মীকে আটকও করা হয়েছে। সূত্র: আজ জাজিরা