সুখ স্থায়ী নয়! নবমী-দশমীতে ঘনাচ্ছে দুর্যোগের মেঘ, ভাসতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

সপ্তমীর সন্ধ্যা পর্যন্ত আকাশ ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। কোথাও তেমন বৃষ্টি হয়নি। কলকাতা জুড়ে উচ্ছ্বাস, ঠাকুর দেখতে বেরোনো মানুষের ঢল। অষ্টমীর সকাল থেকে ভ্যাপসা গরম, মাঝে কয়েকপশলা বৃষ্টিতে গরম আরও বাড়লেও ঠাকুর দেখায় ছেদ পড়েনি। উত্তর থেকে দক্ষিণ, সকাল থেকেই রাস্তায় দেখা গিয়েছে জনস্রোত। ছাতা কিংবা বর্ষাতি ছাড়া খোলামেলা ভিড় জমেছে শহরের নানা পুজোমণ্ডপে। কিন্তু এবার সেই আনন্দে ছেদ ফেলতে চলেছে আবহাওয়ার রুদ্রমূর্তি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Weather Update)— সুখ আর স্থায়ী নয়! অষ্টমীর সন্ধ্যে থেকেই বৃষ্টি ঢুকে পড়বে দক্ষিণবঙ্গে। হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম— কোথাও কোথাও ঝরতে পারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবে শহর কলকাতাতেও (South Bengal including Kolkata)। কিন্তু প্রকৃত দুর্যোগের শুরু নবমী থেকেই। উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ধেয়ে আসবে বাংলার দিকে। এর জেরে নবমী ও দশমীতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টিতে কাঁপবে গোটা দক্ষিণবঙ্গ (Nabami-Dashami of Durga Puja)। সবচেয়ে বেশি চিন্তার কারণ, দশমীর দিন। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ওই দিন উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে— পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া— ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতেও রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুরে। ইতিমধ্যেই এই চার জেলায় কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। ফলে পুজো-উৎসবের উচ্ছ্বাসের মাঝেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভক্তদের কপালে। অনেকেই নবমীর দিন দুর্যোগের আশঙ্কা এড়াতে অষ্টমীতেই ঠাকুর দেখা সেরে নিতে চাইছেন। ফলে শহরের বড় বড় মণ্ডপে অষ্টমীর রাতে রেকর্ড ভিড় হতে পারে বলে অনুমান। দশমীতে যখন বিসর্জনের সুর বাজবে, তখনই যদি আকাশ ভেঙে নামে জলধারা, সেই চিন্তাই ভাবাচ্ছে পুজোপ্রেমীদের। আবহবিদদের সতর্কবার্তা স্পষ্ট— দক্ষিণবঙ্গের পুজোয় এবার শেষ কড়াই পড়তে চলেছে প্রকৃতির রোষে!