বিক্ষুব্ধ পাহাড় জ্বলছে

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৮:৩৫ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

Fragile! handle with care! গতকাল খাগড়াছড়িতে যা ঘটেছে তা নিছক এক মামরা কিশোরীকে ধ*র্ষ*ণ, পরবর্তীতে প্রতিবাদী ৩জন পাহাড়িকে গুলি করে হত্যা নয়। এসব একটি সুপরিকল্পিত দীর্ঘমেয়াদী ষড়যন্ত্রের অংশ। গত বছর ২৫ মে শেখ হাসিনা বলেছিলেন―” বাংলাদেশের একটা অংশ নিয়ে খ্রিস্টান রাষ্ট্র বানানোর চক্রান্ত চলছে। মার্কিন যু*ক্ত*রা*ষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনের মতো বাংলাদেশের একটা অংশ চট্টগ্রাম, মিয়ানমার নিয়ে খ্রিস্টান স্টেট (রাষ্ট্র) বানাবে। “ 📍 শেখ হাসিনা বলার আগেই সম্ভবত ২০২২/২৩ সালেই ডিপস্টেট এই বিষয়ে ‘হোমওয়ার্ক’ শুরু করে দিয়েছিল। অনেকেই বিষয়টাকে ‘আষাঢ়ে গল্প’ বা ‘কল্পিত জুজুর ভয় দেখানো’ বলে উড়িয়ে দেন। বিষয়টা যে আদৌ কল্পিত জুজুর ভয় নয় তার প্রমাণ জাতি দুমাস পরেই হাতে-নাতে পেয়েছে। একটা সাধারণ কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কীভাবে মেটিক্যুলাসলি করা ডিজাইনে সরকার পতন ঘটিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিল এবং মীর জাফরের বোবা সৈনিকদের মত তাকিয়ে তাকিয়ে দেখল জাতি। 📍 খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে দলবদ্ধ ধ*র্ষ*ণ, প্রতিবাদে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ওপর শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর গুলি, ৩ জনের মৃত্যু, আহত অসংখ্য। এই খবরটির প্রেক্ষাপট বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। দেশের অধিকাংশ মানুষ (নারী-পুরুষ নির্বিশেষে) ধ র্ষ ণ নামক অমানবিক ঘটনাকে সামাজিকভাবে ‘ইউজ-টু’ করে ফেলেছে। তা না হলে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারত। এমন নয় যে দেশে মৃত্যুদণ্ড রোহিত। 📍 এই ঘটনার পর পত্র-পত্রিকায় সবিস্তারে যেসব বর্ণনা আসছে সেটাও গৎবাঁধাঃ খাগড়াছড়ির গুইমারায় সড়ক অবরোধ চলছে। প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারার মধ্যেই গুইমারা উপজেলায় ব্যাপক গোলাগুলি ও সংঘর্ষ চলছে। ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এর পর যা যা বলা হচ্ছে সবই রুটিন-টক। …. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে―’মেজরসহ তেরো জন সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ তিন জন পুলিশ সদস্য এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। তিন জন নিহত ও অনেকের আহত হওয়ার এই ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।‘ 📍 ঘটনা এখানেই শেষ। এরপর যা যা হবে―তদন্তের নামে অজ্ঞাত কয়েকজনকে গ্রেফতার করে দেখানো হবে-সরকার যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে। মিডিয়ায় বিভিন্ন দলের প্রতিবাদ বিবৃতি, মিছিলের ছবি, নেতাদের দুঃখপ্রকাশ চলতে থাকবে। হান্নান মাসউদের মত অর্বাচিন কেউ কেউ বিবৃতিতে বলবে―‘খাগড়াছড়িতে ধ র্ষ ণে র অভিযোগ ভুয়া ও ভারতের ষড়যন্ত্র। ‘ 📍 এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেই দিয়েছেন―’এখানে ভারতের ইন্ধন আছে’। স্টাবলিশমেন্টের প্যারাসাইট ব্যুরক্র্যাট থেকে আগুনখোর ‘বিপ্লবমারানিরাও’ এখানে ‘তৃতীয় পক্ষের’ ষড়যন্ত্র খুঁজে পাবে। ধর্ষণ ও ধ র্ষ ণে র প্রতিবাদ করতে গিয়ে ৩জন পাহাড়ির মৃত্যুকে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে ওই ‘তৃতীয় পক্ষের’ দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য গলার রগ ফুলিয়ে গরুর মত চিৎকার করতে থাকবে। পাবলিক ততোদিনে নতুন ইস্যুতে ডুব দেবে। 📍 কেউ প্রশ্ন করবে না―ধ র্ষ ণ পাহাড়-সমতল সব জায়গাতেই ঘটে। সমতলে তার প্রতিবাদে গুলি চলে না, পাহাড়ে কেন গুলি চলে? কেউ প্রশ্ন করবে না―পুলিশের সামনে বীরদর্পে সেটালেররা কীভাবে পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে আগুন দিতে পারে? কেন পত্রিকায় “সেনাবাহিনীর মেজরসহ তেরো জন সেনাসদস্য এবং ওসিসহ তিন জন পুলিশ সদস্য আহত” হওয়ার ঘটনাটি হাইলাইট করা হল? 📍 মিডিয়ায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে বলা হয়েছে―” অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।“ এখানে ‘পাহাড়ি-বাঙালি মুখোমুখি’ বলা হচ্ছে নিকৃষ্টধরণের উদ্দেশ্য থেকে। অর্থাৎ সেটেলারদের আড়াল করে সংঘর্ষটাকে ‘পাহাড়ি-বাঙালি’ বলে সমতলের বাঙালিদের পাহাড়িদের বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার শয়তানি। সেটেলারদের বেশিরভাগই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের দাগী বদমায়েশ এবং নদীভাঙা বিভিন্ন চরাঞ্চলের মানুষ যারা প্রকৃতিগত কারণেই হিংস্র, লোভী ও সুযোগসন্ধানী। 📍 এর সঙ্গে কথিত Zoland-এর যোগসূত্র কোথায়? এবার সংক্ষেপে সেটা বলার চেষ্টা করি, দেখুন ডটগুলো মিলিত হয়ে কোনও স্ট্রেইটলাইন তৈরি করে কীনা। পাহাড়ে একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে থাকলে এবং তার যথাযথ প্রতিকার না হলে (প্রতিকার হবে না কারণ, বাঙালি সিভিল-মিলিটারি কর্মকর্তারা, সমতলের সংখ্যাগুরুত্বের গরিমায় ভোগা বাঙালিরা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে থার্ডক্লাস সিটিজেন ভাবে। তাই কখনও ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’, ‘উপজাতি’, ‘বার্মিজ শরণার্থী’ কিংবা ‘আরাকানি উদ্বাস্তু’ মনে করে এবং পাহাড়িদের সঙ্গে ঔপনিবেশিক আচরণ করে) বিক্ষুব্ধ পাহাড়িরা পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল―’জেএসএস’, ‘ইউপিডিএফ’ ও জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা গ্রুপ) এর মাধ্যমে আশির দশকের অবস্থানে ব্যাক করার সম্ভবনাও তৈরি হতে পারে। 📍 তখন বাংলাদেশ তার ভূখণ্ড অটুট রাখার জন্য বল প্রয়োগ করবে। অর্থাৎ সরাসরি সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করবে। আর তখনই সর্বপ্রকার লজিস্টিক সাপোর্ট নিয়ে হাজির হবে মর্কিন মেরিন, পাকিস্তানি আইএসআই, তুরস্ক। ফলে দ্রুতই KNA (Kuki National Army) PDF (People’s Defence Force) আরাকান আর্মি, চিন স্টেট এই অঞ্চলকে অস্থির করতে জড়িয়ে পড়বে। যে হুমকিটা ইউনূস সেই প্রথম দিন থেকেই ভারতকে দিয়ে আসছেন―” ভারত বাংলাদেশকে অস্থির করতে চাইলে তাদের ‘সেভেন সিস্টার্স’ও অস্থির হবে।“ বলে। 📍 মার্কিন থিঙ্কট্যাঙ্ক মনে করছে শুধুমাত্র মিয়ানমারভিত্তিক জোল্যান্ড টিকবে না। তাই তারা চিন স্টেটের লাগোয়া ভারতের মিজোরামে বসবাসরত খ্রিস্টান ও হাতে গোণা কিছু ইহুদীদের নিয়ে বাংলাদেশের কুকি-চিন জনগোষ্ঠীকে এক ছাতার নিচে এনে বৃহত্তর ‘জো-ল্যাণ্ড’ গঠনের জন্য পুরোদমে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যার প্রাথমিক পদক্ষেপ-বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে লজিস্টিক পৌঁছানোর জন্য রাখাইন করিডোর. যৌথমহড়ার নামে ঘন ঘন মার্কিন সেনার আগমন, এন্ট্রি-রেজিস্টেশন ছাড়াই সৈন্যদের অবাধ চলাচল, মহড়া শেষেও বাংলাদেশ ত্যাগ না করা ইত্যিাদি। 📍 দেশে যখন পাহাড় জ্বলছে, সেসময় ইউনূস জাতিসংঘের অধিবেশনে বসে কয়েকটি দেশের প্রাক্তন সরকারপ্রধানের সমর্থন নিয়ে গলাবাজী করছেন। যারা একসময় শেখ হাসিনার কাছে ধর্না দিয়েছিল তাঁর (ইউনূসের) বিচার বন্ধ করার জন্য। কেননা পাহাড় অস্থির হোক এটা ডিপস্টেটের ‘প্ল্যান-বি’। আর ‘পাপেট’ হওয়ায় তাকে নিয়োগকর্তার সকল প্ল্যানেই সাড়া দিতে হবে। 📍 সমতলের বাঙালিরা কি তিনটি পার্বত্য জেলা পৃথক হতে চাইলে বা স্বায়ত্বশাসন চাইলে কিংবা অন্য কোনও দেশের সঙ্গে মার্জ করতে চাইলে মেনে নিতে পারবেন? এর উত্তর হচ্ছে―না, পারবেন না কারণ, আমাদের পার্বত্য অঞ্চল বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটাই বাস্তবতা। আচ্ছা এর সঙ্গে যদি একটা ‘শ্যাডো রিয়েলিটি’ মনে করিয়ে দিই. মানতে পারবেন? না, তাও পারবেন না। 📍 খুব সংক্ষেপে ৭৮ বছর আগের কিছু ঘটনাবলির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিঃ পাকিস্তান বিভক্তের সময়ে জুম্ম জাতিকে নেতৃত্ব দেওয়া নেতা স্নেহ কুমার চাকমার বাড়ি ছিল আজকের খাগড়াছড়ি। ব্রিটিশবিরোধী স্বদেশি আন্দোলনে স্নেহকুমার ছিলেন অবিসম্বাদিত নেতা। স্নেহ কুমার চাকমা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতি বেশ অনুরাগী ছিলেন । ১৯৩০ সালের প্রথম দিকে নেতাজী চট্টগ্রাম আসলে ‘যাত্রা মোহন সেন’ হলে তাঁর সাথে স্নেহ কুমার চাকমার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। আজাদ হিন্দ ফৌজ কোহিমায় থাকা পর্যন্ত নেতাজির সাথে স্নেহ কুমার চাকমার যোগাযোগ ছিল। 📍 ১৯৪৭ সালের গোঁড়ার দিকে সর্বভারতীয় কমিটির একটি দল রাঙামাটি আসে। এই অঞ্চলের মানুষ কি ধরণের শাসন চায় তা খতিয়ে দেখা এবং সে অনুযায়ী হাইকমান্ডের কাছে রিপোর্ট করতে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলকে ভারতের সাথেই অন্তভূক্তির জন্য স্নেহ কুমার চাকমারা মহাত্মা গান্ধী, পণ্ডিত নেহেরু বল্লভ ভাই প্যাটেলসহ তৎকালীন কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। অবশেষে পূর্ব নির্ধারিত ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট স্নেহ কুমার চাকমা তার দলবল নিয়ে প্রকাশ্যে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এই পতাকা তিন দিন পর্যন্ত উত্তোলিত ছিল। ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামকে কোন অংশে জুড়ে দেয়া হবে তখনো তা ঘোষিত হয়নি। 📍 দুদিন পর, ১৭ ই আগস্ট রেডিওতে ঘোষণা করা হয় ‘বেঙ্গল বাউন্ডারি কমিশনের চেয়ারম্যান রেডক্লিফ পার্বত্য চট্টগ্রামকে পাকিস্তান অংশের সাথে জুড়ে দিয়েছেন।‘ ২১শে আগস্ট পাকিস্তানের বেলুচ- রেজিমেন্ট পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারতের পতাকা নামিয়ে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করে। 📍 স্নেহকুমার চাকমা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার মনস্থির করেন। ভারতীয় নেতাদের কাছ থেকে সহযোগিতা চাওয়ার জন্য তিনি ভারতে চলে যান। তিনি লেখেন “I left rangamati same day (August 19th, 1947) for Tripura with 8 armed volunteers and crossed to sabroom on August 21th, 1947.” 📍 তিনি নতুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সাথেও দেখা করেন। তবে আশানুরূপ আশ্বাস পাননি। রেডক্লিফ-এর ‘ধর্মের ভিত্তিতে অঞ্চল ভাগ’ অনুযায়ী মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলগুলো পূর্বপাকিস্তানে এবং হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলগুলো ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয়। অথচ বিস্ময়করভাবে ৯৭ শতাংশ অমুসলিম পার্বত্য চট্টগ্রাম ‘মুসলিম পূর্বপাকিস্তনে’ অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল! পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতে অন্তর্ভুক্তির স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেলে স্নেহকুমার চাকমা আর এদেশে ফেরত আসেননি। 📍 পাহাড়ে এরপর কী ঘটল? কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ করল পাকিস্তান সরকার। প্রায় ১৮ হাজার পরিবার এবং প্রায় এক লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হল, যাদের বেশিরভাগই ছিল আদিবাসী চাকমা সম্প্রদায়ের। তাদের বাড়িঘর ও চাষাবাদযোগ্য জমি হারাল। বাঁধ প্রকল্পের ফলে সৃষ্ট বিশাল কাপ্তাই হ্রদের কারণে ৬৫৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হল। এর ফলে ওই পরিবারগুলো তাদের বসতভিটা ও চাষের জমি হারাল। সরকার পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ যা দিল তাতে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়েছিল সেই এক লক্ষ বাস্তুচ্যুত মানুষ। 📍 এতক্ষণ কোথাও আমার নিজস্ব মতামত দেওয়া হয়নি। এবার শেষ করি শ্রমিক শ্রেণীর মহান নেতা জোসেফ স্তালিনের লেখা থেকে―“দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের কোনও কোনও নেতা বলতেন-আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার বলতে শুধু সাংস্কৃতিক স্বায়ত্বশাসনের অধিকারই বোঝায়; অর্থাৎ নির্যাতিত জাতিদের শুধু নিজস্ব সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়বার অধিকার আছে; কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতা থাকবে শাসক জাতির হাতে। লেনিন এই ব্যাখ্যাকে আরও সুদূরপ্রসারী করে বলেছেন―’উপনিবেশ আর পরাধীন দেশের নির্যাতিত জনসাধারণের সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার অধিকার আছে (‘লেনিনবাদের ভিত্তি’, চলন্তিকা বইঘর, পৃষ্ঠা ৭২) । ‘ 📍 পাহাড়ে একের পর এক এধরণের নির্মমতা চলবে আর আপনারা ভাববেন- ‘পাহাড়ি জনগোষ্ঠী কয়েকদিন বিক্ষোভ টিক্ষোভ করে শান্ত হয়ে যাবে?’ অত্যাচার সীমা ছাড়ালে প্রতিপক্ষ কতগুন বেশি শক্তিশালী সেটা ভিকটিমরা মাথায় রাখে না। So be careful! Fragile! handle with care! [মনজুরুল হক – রাজনৈতিক বিশ্লেষক]