ইসরায়েলি সব বাধা ডিঙিয়ে গাজার আরও কাছে আন্তর্জাতিক নৌবহর

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৯:১৬ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্যে একটি আন্তর্জাতিক সহায়তা নৌবহর গাজার দিকে এগোচ্ছে বলে আয়োজকরা সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন। ‌‌‘ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর ব্রেকিং দ্য সিজ অন গাজা’ এক্সে একটি পোস্টে জানায়, “আমরা গাজা থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দূরে আছি।” গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সদস্য ইতালির কর্মী টনি লা পিচ্চিরেলা এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, তারা মঙ্গলবার সেই স্থানে পৌঁছাবেন, যেখানে অতীতে ইসরায়েলি নৌবাহিনী মাদলিন ও হান্দালা নামের দুটি সহায়তা জাহাজকে আটকেছিল। তখন এগুলো গাজার উপকূলে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা করছিল। গত ২৬ জুলাই ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজার তীরের কাছাকাছি পৌঁছানো হান্দালা জাহাজটিকে আটক করে এবং তা আশদোদ বন্দরে নিয়ে যায়। এটি গাজা থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরত্ব অতিক্রম করেছিল। মাদলিন নামের জাহাজটি আটক হওয়ার আগে ১১০ মাইল অগ্রসর হয়েছিল। সোমবার ভূমধ্যসাগর থেকে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় আরও কয়েকজন কর্মী যোগ দিয়েছেন। এর সঙ্গে গ্রিক সাইপ্রাস প্রশাসন ও তুরস্ক থেকে আরও দুটি নৌকা যুক্ত হচ্ছে। সবচেয়ে বড় জাহাজটি মঙ্গলবার যাত্রা করবে, যাতে অন্তত ১০০ জন থাকবে বলে কর্মীরা জানিয়েছেন। লা পিচ্চিরেলা আরও জানান, ইতালি ও স্পেনের নৌবাহিনীর জাহাজগুলো ফ্লোটিলাকে সুরক্ষা দিচ্ছে। এছাড়া আরও তিনটি দেশ তাদের নৌবাহিনী পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে, তবে তিনি দেশগুলোর নাম প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, “এটা আরও বড় হচ্ছে। এটা কেবল আমাদের বা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ব্যাপার নয়। এটা এমন এক আন্দোলন, যেখানে সমুদ্রে শত শত মানুষ আর স্থলে লাখো মানুষ যুক্ত হয়েছে। এই আন্দোলনকে থামানো সম্ভব নয় যতক্ষণ না অবরোধ ভাঙা হচ্ছে।” প্রায় ৫০টি জাহাজ নিয়ে গঠিত গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা চলতি মাসের শুরুতে যাত্রা শুরু করেছে। এর লক্ষ্য ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে গাজায় মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া। গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল সম্পূর্ণভাবে গাজার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। খাদ্য ও সহায়তার কাফেলা আটকে দেওয়া হয়েছে, ফলে সেখানে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি আরও গভীর হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনারা গাজায় ৬৬ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণ গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে, দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ ও রোগের প্রাদুর্ভাব। সূত্র: আনাদলু