বাংলাদেশে প্রতিমা ভাঙে বাতাসে, মাজার ভাঙে অজ্ঞাতে

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৬:২৭ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

বাংলাদেশের গাজীপুরে প্রতিমা ভাঙার দায় বাতাসের ওপর চাপিয়েছে পুলিশ। কুমিল্লায় প্রকাশ্যে চারটি মাজারে হামলা চালানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মামলা করেছে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে৷ নানা ঘটনায় অজ্ঞাত শত শত মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া বাংলাদেশে অবশ্য নতুন কিছু নয়৷ এমন মামলা পুলিশের জন্য দারুণ এক সুযোগ, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যথেচ্ছ ‘মামলা বাণিজ্য' করার অভিযোগও ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এক বছর ধরে নানা স্থানে অসংখ্য মাজারে হামলার ধারাবাহিকতায় সেই পুরনো ধারায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করে কি হামলা থামানো সম্ভব? নাকি হামলাকারীদের ‘বিশেষ ছাড়'ই অলঙ্ঘনীয় নিয়তি? মন্দিরে হামলার সমস্ত দায় বাতাসের ওপর চাপানো থেকেই বা কী বার্তা যায় হামলাকারীদের কাছে? এমন হামলা থামাতে হবে? নাকি চলছে, চলুক? বুধবার দুপুরে গাজীপুরের কাসিমপুরে প্রতিমা ভাঙচুরেরর ঘটনা ঘটে। কাশিমপুর অগ্রগামী যুব সংঘ সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, " আমরা মণ্ডপে ছিলাম। কিন্তু দুপুর দেড়টার দিকে খাবারের জন্য সবাই বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রতিমাগুলো ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর পাহারাদাররা যখন ভেতরে বাতি দিতে যায়, তখন প্রতিমা ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পায়।” কিন্তু এই ঘটনার পর রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি জোনের সহকারি পুলিশ কশিশনার আবু নাসের মো. আল আমীন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন," সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস ছিল। বাতাসেই প্রতিমা ভেঙে গিয়েছে, এর বাইরে কিছু নয়।” শুক্রবার বিকালে এমন বক্তব্যের ব্যখ্যা জানতে চাইলে ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন," আসলে তখন আমরা কাছে ওরকমই মনে হয়েছে। আগে বৃষ্টিও ছিল। মনে হয়েছে বাতাসে ভাঙতে পারে। কারণ, মণ্ডপের লোকজন শুরুতে আমাদের প্রতিমা দেখতে দেয়নি, ঢেকে রেখেছিল। আমাদের যে ভিডিও দিয়েছিল তাতেও বড় রকমের ভাঙচুর বলতে যা বুঝায়, তা মনে হয়নি। এই কারণেই ওই রকম বলেছিলাম।” তবে তিনি জানান শুরুতে বাতাসে ভেঙেছে মনে হলেও অবশেষে মামলা হয়েছে, "এখন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। যারা অপরাধী, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।'' এখন ‘‘মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে” বলেও জানান তিনি৷ তবে তার বক্তব্য ও ভূমিকার বিষয়ে প্রদীপ কুমার মজুমদার বলেন, "ওই পুলিশ কর্মকর্তা মনগড়া কথা বলেছেন। আমরা পুলিশকে ভাঙা প্রতিমা দেখতে দেইনি৷ এটা অসত্য কথা। আর আমরা পুলিশকে কোনো ভিডিও দেইনি। ঘটনা আমাদের নজরে আসার পরপরই পুলিশকে জানিয়েছি। তবে আমাদের মণ্ডপে তখনো আমরা সিসি ক্যামেরা লাগাইনি। ফলে কারা ভেঙেছে তা বুঝতে পারছি না। এখন সার্বক্ষণিকভাবে পুলিশ পাহারা দেয়া হয়েছে।” দুর্গাপূজার প্রস্তুতি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশের কমপক্ষে সাতটি জেলায় প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রয়েছে পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুষ্টিয়া, নেত্রকোনা ও গাজীপুর। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মনীদ্র কুমার নাথ ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমরা দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পেয়েছি। সর্বশেষ গাজীপুরে পুলিশ বলেছে, প্রতিমা বাতাস ভেঙে ফেলেছে। এটাই হচ্ছে সমস্যা। ভাঙচুর হলেও সরকার ও পুলিশ এটাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছে না। তাদের মধ্যে এটা প্রতিরোধে আন্তরকিতার অভাব দেখতে পাচ্ছি। নয়তো একজন পুলিশ কর্মকর্তা কোনো তদন্ত ছাড়াই কীভাবে বলেন প্রতিমা বাতাসে ভেঙে গেছে।” "শুধু তাই নয়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এক সভায় বলেছেন,পূজায় মদ, গাঁজার আসর বসানো যাবে না। তাহলে কি তিনি বলতে চান যে, পূজা হলো মদ, গাঁজার আসর? তার এই কথায় তো দুর্বৃত্তরা উৎসাহিত হবে,” বলেন তিনি। গত ৮ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, "২৪ ঘণ্টা পূজামণ্ডপ পর্যবেক্ষণে থাকবে। আমাদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আনসার নিয়োগ দেওয়া হবে। পূজা উপলক্ষে আশপাশে যে মেলা বসে, সেখানে মদ ও গাঁজার আসর বসে। এবার মেলায় এসব হবে না। গাঁজা ও মদের আসর বসানো যাবে না।” হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানানো হলেও তিনি ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করেননি। মনীন্দ্রু কুমার নাথ বলেন, " ওই বক্তব্যের পর পূজায় যে মেলা বসে, তা-ও আমরা বসাতে পারবো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।” পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন,"সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, প্রতিমা ভাঙচুরের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিভিন্ন মণ্ডপে নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। ” তবে এখন পর্যন্ত প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে -এমন কোনো তথ্য পাননি বলে জানান তিনি। পুলিশ সদর দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে এআইজি মিডিয় এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন বলেন,"পুলিশ এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থায় আছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করেছে।” এবার সারা দেশে ৩৩ হাজারেরও বেশি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। মণ্ডপগুলোতে আনসার থাকবে। পুলিশের টহল টিমও থাকবে। ১৭ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরে এক বৈঠকে পুলিশের আইজি বাহারুল আলম বলেন, " আসন্ন দুর্গাপূজা নিরাপদে, সুন্দরভাবে উদযাপিত হবে। পুলিশ পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থায় থাকবে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ প্রাক পূজা, পূজা চলাকালীন এবং প্রতিমা বিসর্জন ও পূজা পরবর্তী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।” কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় একযোগে চারটি মাজারে হামলার পর দুই হাজার ২০০ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চালানো হয় হামলা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ‘তৌহিদী জনতার' পরিচয়ধারী ব্যক্তিরা ইকে ঘোষণা দিয়ে হোমনার আসাদপুর গ্রামে কফিল উদ্দিন শাহ ও হাওয়ালি শাহ মাজারে আগুন দেয় এবং কালাই শাহ ও আবদু শাহ মাজারে হামলা ও ভাঙচুর করে। হামলার শিকার কফিল শাহ'র ভক্ত মো. মনির হোসেন বলেন, " আমি কোনোভাবে প্রাণে বেঁচে গেছি। পুলিশ ও সেনবাহিনীর সামনেই ওই হামলা হয়। আর হামলা একবারে নয়, একটার পর একটা ধীরে ধীরে এক ঘণ্টার বেশি সময় নিয়ে করা হয়। তার আগে মাইকে ঘোষণা করা হয়। যারা হামলা করেছে, তাদের নেতারা সবার পরিচিত। হামলার আগে বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন জড়ো করা হয়।” তার কথা, "তারপরও মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হলেনা না কেন সেটাই আমার প্রশ্ন।” মামলাটি করেছেন হোমনা থানার সাব-ইন্সপ্ক্টের (এসআই) তাপস কুমার সরকার। মামলায় কারো নাম উল্লেখ না করার বিষয়ে তিনি বলেন, "তদন্তে সবার নাম জানা যাবে। আমরা তো কাউকে চিনি না।” হামলার ভিডিও, হামলাকারীদের ব্যানার, মাইকে ঘোষণার সব তথ্য থাকার পরও কারো নাম নাম না জানার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন," ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যেভাবে মামলা করতে বলেছেন, আমি সেভাবে মামলা করেছি। আপনি স্যারদের জিজ্ঞেস করেন।” ‘এ পর্যন্ত ১৮৫টি মাজার, খানকায় হামলা ও আগুন দেয়া হয়েছে' বিশ্ব সুফি সংস্থার মুখপাত্র আফতাব আলম জিলানী ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমরা ঘটনার পর হোমনায় গিয়েছিলাম। সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। আরো ১৫টি মাজারের তালিকা করা হয়েছিল হামলার জন্য। কিন্তু চারটি মাজারের হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হলে তারা সেটা পারেনি।” "আমাদের সর্বশেষ হিসাবে এ পর্যন্ত ১৮৫টি মাজার, খানকায় হামলা ও আগুন দেয়া হয়েছে। আরো অব্যাহতভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। আসলে এটা বাংলাদেশে সুফিবাদ নিশ্চিহ্ন করার একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র,” বলেন তিনি। গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরগায় হামলা চালিয়ে, তার লাশ তুলে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় এখনো মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেখানেও আগে ঘোষণা দিয়েই হামলা করা হয়। হামলায় একজন নিহত হন৷ নিহত রাসেল মোল্লার (২৭) বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেন।সেখানেও হামলার পরিকল্পনাকারী বা প্রকৃত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে অভিযোগ৷ আফতাব আলম জিলানী বলেন, " আসলে কোনো ঘটনায়ই মূল হোতাদের গ্রেপ্তার করা হয় না। কুমিল্লার হোমনার ঘটনার ভিডিও আছে। কারা হামলা ও আগুন দিয়েছে সবার জানা। তারপরও অজ্ঞাত দুই হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলো। কারো নাম উল্লেখ করা হলো না। আসলে মূল অপরাধীদের আড়াল করতেই এইভাবে মামলা করা হয়েছে।” তিনি আরো বলেন, " কোনো ঘটনার ভিডিও প্রকাশ হলেই তা নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু গোয়ালন্দের নুরাল পাগলার চেয়েও ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে গত বছর সিরাগঞ্জ ও নরসিংদীতে। সেখানেও অনেক বছর আগে দাফন করা লাশের ওপর বর্বর ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ না হওয়ায় সেটা নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছেনা৷” সরকার ধোঁকা দিচ্ছে? মানবাধিকার কর্মী নূর খান বলেন, " গত বছরের ৫ আগস্টের আগে পুলিশ যেমন বিবৃতি দিতো, এখনো সেরকমই দেয়। ওই সময়ে কোনো অপরাধ ঘটলে বলতো বিএনপি, জামায়াত করেছে। আর এখন বলে আওয়ামী লীগ করেছে। কিন্তু আমরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার হতে দেখি না। প্রতিমা ভাঙচুর হচ্ছে। একের পর এক মাজারে বর্বরোচিত হামলা হচ্ছে। পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দেখাক কারা এসব করছে।” "পুলিশ নিশ্চিত না হয়ে কীভাবে বলে যে. বাতাসে প্রতিমা ভেঙেছে? তিনি এরকম মনে করে থাকলে তার হৃদয়ে কী আছে তা আমাদের জানা দরকার। একের পর এক মাজারে হামলা হচ্ছে, কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। কুমিল্লার ঘটনায় সব আসামি অজ্ঞাত। এর মাধ্যমে অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে,” বলেন তিনি। তার কথা, "সরকার, পুলিশ আসলে ধোঁকা দিচ্ছে। তারা মুখে এক কথা বলছে আর বাস্তবে করছে অন্য কাজ। শত শত অজ্ঞাত আসামি দিয়ে একদিকে অপরাধীদের আড়াল করছে, অন্যদিকে বাণিজ্য করছে।” মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন, "আমাদের কাছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি কী? আমরা তো অপরাধীদের গ্রেপ্তার দেখতে চাই। তা তো হচ্ছে না। ” আর আফতাব আলম জিলানী বলেন, "আসলে এইসব বলার উদ্দেশ্য হলো অপরাধীদের রেহাই দেয়া।” হামলাকারী নয়, ষড়যন্ত্র দেখা প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারি প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন," অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সাফল্যও পেয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প তৈরির চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সেটা বাংলাদেশের মানুষ হতে দেয়নি। কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। পূজাকে সামনে রেখেও সেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকার সচেতন আছে।” "আর আমাদের এখানে কেউ মাজার অনুসারী আছেন, কেউ বিরোধী আছেন। এখানে ধর্মের একটা সাংঘর্ষিক অবস্থা আছে। এটা আবার হারমনিও। তারপরও মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। কুমিল্লার ঘটনায়ও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে,” বলেন তিনি।