আফগানিস্তানকে হারাতে পারবে শ্রীলংকা, পরিসংখ্যান কী বলে?

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান তো বটেই, শ্রীলংকাও আছে শঙ্কায়। এই করলে সেই হবে, ওই করলে বাদ পড়বে সেই দল— এই সমীকরণ মেলানোর শব্দ থামবে আজ রাতে। এশিয়া কাপে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে কোন দু’টি দল খেলবে, সেটি জানা যাবে আজ শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান ম্যাচের ফলাফলের উপর। সমীকরণ বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলংকা জিতলেও, লংকানদের সঙ্গে সুপার ফোরে খেলবে বাংলাদেশ। তখন শ্রীলংকার পয়েন্ট হবে ৬, বাংলাদেশের পয়েন্ট থাকবে ৪ এবং আফগানিস্তান ২ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নেবে। শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় পেলে সুপার ফোর নিশ্চিত হবে আফগানিস্তানের। শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ করে হলেও রান রেটে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবে আফগানরাই। বর্তমানে আফগানিস্তানের রান রেট ২.১৫০, শ্রীলংকার ১.৫৪৬ ও বাংলাদেশের -০.২৭০। আফগানিস্তানের জয়ে রান রেটের হিসাবে বসতে হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকাকে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুপার ফোরে উঠতে আফগানদের কাছে ৭০ রান বা তার বেশি ব্যবধানে এবং ম্যাচের ৫০ বল বাকি থাকতে হারতে হবে শ্রীলংকাকে। এছাড়াও শ্রীলংকা-আফগানিস্তান ম্যাচ যদি পরিত্যক্ত হয়, তাহলে লংকানদের নিয়ে সুপার ফোরে উঠবে বাংলাদেশ। শ্রীলংকার বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছে না আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর আফগান অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, ‘শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের কাছে অনেক বড় ম্যাচ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে করা ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে।’ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে শ্রীলংকার অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কা বলেন, ‘আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলাই খেলব। সবসময় যেমন জয়ের জন্য মাঠে নামি, কালও একই লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামব।’ টি-টোয়েন্টিতে আটবার মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান। এরমধ্যে লংকানরা পাঁচবার ও আফগানরা তিনবার জয় পেয়েছে। সমীকরণ মেলানোর ম্যাচে লঙ্কানরা একাদশে বদল নাও আনতে পারে, তবে আফগান শিবিরে পরিবর্তন আসতে পারে কয়েকটি। আফগানিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ সেকিদুল্লাহ অটল, রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, গুলবাদিন নাইব, মোহাম্মদ নবি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, করিম জানাত, রশিদ খান (অধিনায়ক), নূর আহমাদ, এএম গজনফর, ফজলহক ফারুকি। শ্রীলংকার সম্ভাব্য একাদশ পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), কামিল মিশারা, কুশল পেরেরা, চারিথ আসালঙ্কা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুষ্মন্তে চামিরা, মহেশ থিকশানা, নুয়ান থুশারা।