ইসলাম ও মহানবিকে (সা.) কটূক্তি করেছিলেন ট্রাম্পের মিত্র চার্লি কার্ক

১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৭:২১ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাবশালী মিত্র চার্লি কার্ক। বিতর্কিত এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কট্টর ইসরাইলপন্থি ছিলেন। এছাড়া প্রায়শই ইসলাম ধর্ম এবং মহানবিকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করতেন তিনি। তার ইসরাইলপন্থি এবং ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্যগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে মিডল ইস্ট আই নামের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি সংবাদমাধ্যম। প্রতিবেদনে বলা হয়, কার্ক খ্রিস্টান সভ্যতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা একটি আমেরিকান জীবনধারার সমর্থক ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে নিজের ভিশন ব্যাখ্যা করার সময় প্রচণ্ড ইসলামবিদ্বেষী ভাষা ব্যবহার করতেন। যেমন একবার কার্ক বলেছিলেন, তিনি চান না তার সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের আজানের ধ্বনি শুনুক। কার্ক বলেন, ‘আধ্যাত্মিক লড়াই পশ্চিমে আসছে। আমাদের আমেরিকান জীবনধারাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ওয়োক-বাদ বা মার্ক্সবাদ ইসলামের সঙ্গে মিলিত হচ্ছে।’ এছাড়া কার্ক মহানবি (সা.) সম্পর্কে আলোচনা করার সময় অত্যন্ত আক্রমণাত্মক এবং বিদ্বেষপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। কার্ক তাকে ‘একজন যুদ্ধপ্রধান’ এবং ‘পেডোফাইল’ আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন যে, তিনি ‘ধর্ষণে’ লিপ্ত ছিলেন। কার্ক কট্টর ইসরাইলপন্থি ছিলেন। গাজায় গণহত্যার পরও ইসরাইলের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করে তিনি নিজেকে একজন ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান জায়নিস্ট হিসেবে পরিচয় দিতেন। তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের প্রতি আমার সমর্থন প্রকাশের জন্য যথেষ্ট আমার বুলেটপ্রুফ জীবনবৃত্তান্ত যথেষ্ট। আমি ইসরাইলের ধর্মগ্রন্থভিত্তিক ভূমির অধিকারে বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যদ্বাণীর পূর্ণতায়। আমার জীবন ইসরাইলে পরিবর্তিত হয়েছিল।’ এমনকি প্রয়োজনে কার্ক ইসরাইলের জন্য ‘লড়াই করতেও’ প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছিলেন। গাজা ইস্যুতে কার্ক বরাবরই ইসরাইলের সরকারি অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করতেন এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নৃশংসতার জন্য হামাসকে দায়ী করতেন। যখন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা দুর্ভিক্ষের দিকে ধাবিত হচ্ছিল, কার্ক তার পডকাস্টে ইসরাইলের সমর্থকদের আমন্ত্রণ জানাতেন এবং ইসরাইলের সমালোচনার জন্য দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও অন্যান্য ‘মূলধারার গণমাধ্যমের’ বিষোদগার করতেন।