নাচ গান কবিতায় উচ্ছ্বাস প্রাণে প্রাণে

২৭ মার্চ, ২০২৩ | ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

দিনব্যাপী নানা আয়োজনে গতকাল রোববার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে জাতি। এ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশ ছিল আনন্দমুখর। এসব আয়োজনের মধ্যে ছিল নাচ, গান, কবিতা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। এ সময় সংগীত-আবৃত্তির উচ্ছলতা ছড়িয়ে পড়ে প্রাণে প্রাণে। শিল্পকলা একাডেমি মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আগে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে আয়োজন করে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি অনুষ্ঠান। আব্দুল্লাহ বিপ্লব ও তামান্না তিথির উপস্থাপনায় আবৃত্তি করা হয় ‘পাচু বিবির সংলাপ’ এবং ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’ কবিতা। মজুমদার বিপ্লব উপস্থাপন করেন মুস্তফা আনোয়ারের কবিতা ‘বৈশাখের রুদ্র জামা’ এবং অসীম সাহার কবিতা ‘পৃথিবীর সবচেয়ে মর্মঘাতী রক্তপাত’। অনন্যা লাবণী পাঠ করেন মোশাররফ করিমের কবিতা ‘মারো মরো হারিয়ে যাও’ এবং ‘নাসিমা সুলতানার যুদ্ধে যাওয়ার গল্প’। মিজানুর রহমান সজল আবৃত্তি করেন স্বাধীনতা ভোর কবিতা; কবি সৈয়দ শামসুল হক ও অসীম সাহার কবিতা আমি স্বাধীনতার কথা বলছি। লায়লা আফরোজ আবৃত্তি করেন ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’। মীর বরকত পাঠ করেন কবিতা ‘মেহরুন’। আব্দুল্লাহ বিপ্লব পাঠ করেন আহসান হাবিবের কবিতা ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’। নায়লা তারান্নুম কাকলী আবৃত্তি করেন সৈয়দ শামসুল হকের ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’। আহসান উল্লাহ তমাল পাঠ করেন কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতা ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ এবং শামসুর রাহমানের কবিতা ‘অভিশাপ দিচ্ছি’। পরে শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকালে ছায়ানট আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। কাজী নজরুল ইসলামের ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’– ছায়ানটের শিল্পীদের কণ্ঠে সম্মেলক গানের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে একে একে নুসরাত জাহান রুনা, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, সুমন মজুমদার, ডালিয়া নওরীন ‘যদি মরণের পরে কেউ প্রশ্ন করে’, ‘সাঁঝের বেলায় পাখি ফিরে নীড়ে’, ‘মাগো ধন্য হলো জীবন আমার তোমায় ভালোবেসে’ একক সংগীত পরিবেশন করেন। পরে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’, ‘কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প’ আবৃত্তি করেন মাসুদুজ্জামান ও শামীমা সুলতানা তন্দ্রা। এর পর ছায়ানটের শিল্পীরা ‘আয়রে বাঙালি আয় সেজে আয়’, ‘লাখো শহীদের রক্ত মাখা’ গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের এ পর্বে সুমন দেলোয়ার নির্মিত ‘জনগেরিলা ৭১’ শিরোনামে একটি তথ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়। সব শেষে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনার, আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত হয়। জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত। আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত। স্বাগত বক্তব্য দেন জাদুঘরের মহাপরিচালক কামরুজ্জামান। শিশু একাডেমি আয়োজন করে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানমালা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল। শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতির পিতার ম্যুরালে ফুল দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। আয়োজন করা হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার। বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার প্রদান শেষে শিশু একাডেমির শিশুশিল্পীদের সঙ্গে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটি পরিবেশন করেন পার্থ বড়ুয়া ও নিশীতা বড়ুয়া।