‌‘পায়রা বন্দর এখন গভীরতম, ভিড়তে পারবে বড় জাহাজ’

২৬ মার্চ, ২০২৩ | ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেছেন, বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেইনটেইন্যান্স ড্রেজিং প্রকল্পটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এককভাবে সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হলো। এর মাধ্যমে বন্দর চ্যানেলের গভীরতা ১০.৫ মিটারে উন্নীত হয়েছে। বন্দরটি এখন দেশের গভীরতম বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে সহজে ভিড়তে পারবে বড় বড় জাহাজ। বন্দর সম্মেলন কক্ষে রোববার রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের খননকাজ শেষে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্পটি হস্তান্তর উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বেলজিয়ামের ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান ‘জান ডি নাল’ প্রকল্পটি হস্তান্তর করে। বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, এখন থেকে ২২৫ মিটার দীর্ঘ এবং ৩২ মিটার প্রস্থের প্যানাম্যাক্স আকৃতির বড় জাহাজ (৪০ থেকে ৫০ হাজার টন মালপত্র বহনকারী জাহাজ কিংবা ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার কনটেইনারবাহী) সরাসরি পায়রা বন্দরে ভিড়তে পারবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহিব্বুর রহমান মুহিব। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কমডোর রাজীব ত্রিপুরা, (প্রশাসন ও অর্থ) কমান্ডার রাফিউল হাসাইন, (হারবার অ্যান্ড মেরিন) ক্যাপ্টেন জাহিদ হোসেন প্রমুখ। বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, পায়রা বন্দর বাংলাদেশ স্বাধীনের পর নির্মিত দেশের প্রথম স্মার্ট বন্দর। আগামী মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন। এ লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, চ্যানেলের নাব্য ১০.৫ মিটারে উন্নীত হওয়ার ফলে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে খাদ্যশস্য, সার, আমদানি করা গাড়ি ও অন্যান্য বাণিজ্যিক পণ্য ঢাকাসহ দেশের সব অঞ্চলে পণ্য পরিবহনে খরচ ও সময় সাশ্রয় হবে। ২০২২ সালের ১ আগস্ট জান ডি নাল রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কাজ শুরু করে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা।