সরকারের প্রশ্রয়ে উগ্রপন্থীরা মাজার ও খানকা টার্গেট করেছে: অভিযোগ সুফি নেতাদের

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৯:২০ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জশনে জুলুসে হামলার ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, সরকারের প্রশ্রয়ে উগ্রপন্থীরা মাজার ও খানকা টার্গেট করে বারবার হামলা চালালেও দোষীরা থেকে যাচ্ছে আইনের বাইরে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জুলুসের আগের দিন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নামে জাল প্যাড ব্যবহার করে মুসল্লিদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই ঘোষণার ধারাবাহিকতায় জুলুসের গাড়িগুলোর ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে বহু মানুষ গুরুতর আহত হন। আহলে সুন্নাত নেতারা অভিযোগ করেন, বিনা উসকানিতে গরম পানি নিক্ষেপকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো প্রতিক্রিয়ায় আঙুল প্রদর্শনকারীকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা বলেন, এ ধরনের পক্ষপাতমূলক পদক্ষেপই পরিস্থিতি অবনতির মূল কারণ। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় আইন উপ-কমিটির সদস্য মুখতার আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, শনিবার রাতের ঘটনার পর রোববার প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতিতে বৈঠকে গ্রেপ্তার আরিয়ান ইব্রাহিমকে মুক্তি দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। অথচ প্রশাসন প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। সুফি নেতারা বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে পরিকল্পিতভাবে ইস্যু তৈরি করে সুফি সাধক, মাজার ও খানকার ওপর ধারাবাহিক হামলা চালানো হচ্ছে। রইস উদ্দিন হত্যাসহ একাধিক খুনের ঘটনায় বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই উগ্রবাদীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তাঁরা আহ্বান জানান, এসব ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা, ক্ষতিগ্রস্ত মাজার ও খানকা সংস্কার, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় উগ্রবাদীদের সশস্ত্র অবস্থান ভেঙে দেওয়া এবং মাজারকেন্দ্রিক শান্তি-ঐতিহ্যের ধারাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সরকারের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অছিয়র রহমান আলকাদেরী, আবুল কাশেম নুরী, আবুল ফারাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, শফিউল আলম নিজামী, নাছেরুল হক চিশতী, হারুনুর রশিদ আশরাফী, রফিক উদ্দিন ছিদ্দিকী, মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, ইসমাইল নোমানী, অধ্যক্ষ হাসান রেজা কাদেরী এবং নুর মোহাম্মদ আলকাদেরী।