ন্যাটোর সঙ্গে সংঘাত চায় না মস্কো

২৫ মার্চ, ২০২৩ | ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেস্ক , ইউ এস বাংলা ২৪

ন্যাটোর সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে রাশিয়া। একই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই ইউক্রেন সংকট সমাধানে আগ্রহী মস্কো। সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ শুক্রবার এসব কথা জানান। অবশ্য তাঁর হুঁশিয়ারি, ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলে ইউক্রেন কোনো ধরনের চেষ্টা চালালে কিয়েভের বিরুদ্ধে সব ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার করবে রাশিয়া। খবর আলজাজিরার। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান মেদভেদেভ জানান, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ কিংবা পূর্বাঞ্চলীয় লভিভ পর্যন্ত এগোতে পারে রুশ বাহিনী। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো মিত্ররা রাশিয়াকে ভাঙা এবং ধ্বংস করতে চায় বলে অভিযোগ করেন মেদভেদেভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আরও দূরপাল্লার অস্ত্র দিতে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে আবারও আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি সম্প্রতি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাখমুত ও খেরসন সফর করেছেন। সেসব এলাকার পরিস্থিত আবেগপ্রবণভাবে তুলে ধরেন ইইউ নেতাদের কাছে। তাঁর বক্তব্যে ২৭ ইইউ নেতা এবং শীর্ষ কর্মকর্তাও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ইইউর একটি সূত্র জানায়, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে পারে এমন পাঁচটি কারণের ব্যাপারে মিত্রদের সতর্ক করেছেন জেলেনস্কি। যার মধ্যে রয়েছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহে বিলম্ব, আধুনিক বিমানের অভাব এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার দুর্বলতা। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার রুশ হামলায় গোটা ইউক্রেনে অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয় জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক প্রদেশের কোস্তিয়ানতিনিভকা শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র একটি সাহায্য কেন্দ্রে আঘাত হানে। এতে পাঁচজন নিহত হন। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের প্রশাসন জানায়, রাতে সুমি প্রদেশের বিলোপিলিয়াতে দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৯ জন আহত হন। ক্রেমলিন বলেছে, নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের পাশে আবিষ্কৃত অজ্ঞাত বস্তুটি শনাক্ত করা জরুরি। একই সঙ্গে বিস্ফোরণের চলমান তদন্ত অবশ্যই স্বচ্ছ হতে হবে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, নর্ড স্ট্রিম-২ পাইপলাইনের রুশ নিয়ন্ত্রিত অপারেটরকে গত সপ্তাহে বাল্টিক সাগরের পাইপলাইনের কাছে পাওয়া অজ্ঞাত বস্তু উদ্ধারে সহায়তার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে ডেনমার্ক। এটি একটি ইতিবাচক লক্ষণ। এটি কী ধরনের বস্তু, তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি এই সন্ত্রাসী কর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা, তা তদন্ত করতে হবে। এদিকে, ইউক্রেনে হামলায় আপত্তি তোলা এবং দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় এক রুশ নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে সাড়ে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন রুশ আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন ওই কর্মকর্তাকে রাখা হবে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত কারাগারে। ৩৬ বছর বয়সী ফেডারেল প্রোটেক্টিভ সার্ভিস মেজর মিখাইল ঝিলিনকে এই সাজা দেন বার্নাউল শহরের আদালত। তাঁকে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর যুদ্ধে সেনা নিয়োগে পুতিনের ঘোষণায় কাজাখস্তানে পালিয়ে যান ঝিলিন। তিনি আস্তানায় শরণার্থীর মর্যাদা চেয়েছিলেন, কিন্তু পাননি। পরে গত বছরের শেষ দিকে কাজাখস্তান তাঁকে রাশিয়ায় ফেরত পাঠায়। ঝিলিন সাইবেরিয়ার একটি নিরাপত্তা কেন্দ্রে যোগাযোগ-সংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত ছিলেন।