“একদল ভিলেন” এর শাসনের চেয়ে একজন “এক নায়ক” এর শাসনই শ্রেয়

৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১১:২৯ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

শইমি কৃষ্ণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে “বেনিভলেন্ট ডিক্টেটর” নামে একটি টার্ম আছে। মূলত প্লেটো এই টার্মটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন। তিনি “ন্যায় রাষ্ট্রে আদর্শ রাজা” র কথা বলেছিলেন। যাই হোক, মূল প্রসঙ্গে হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশ। একদল মানুষ একটি ভয়ংকর ষড়যন্ত্র করে, আন্দোলনের নামে স্পষ্ট তো জঙ্গি হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার পতন ঘটিয়েছে। সারা পৃথিবীতে জঙ্গি দমনে শেখ হাসিনার সরকার যেহেতু সবচেয়ে সফল ছিলেন সেহেতু তাকে থামাতে, দেশি–বিদেশি জঙ্গি অর্থায়নের মাধ্যমেই এই ষড়যন্ত্র সফল করা হয়। (দেশী বিদেশী জঙ্গি অর্থায়নের বিস্তারিত বিবরণ নিয়ে অন্য একটি নিবন্ধ লেখার ইচ্ছা আছে। সময়ও সুযোগ হলে তা আপনাদের নিকট পেশ করব।) দেশীয় জঙ্গি অর্থায়ন একিভূত করে তা লগ্নি করার দায়িত্বে ছিল জামাত–শিবির। আর জঙ্গি অর্থায়নের বিদেশি অংশ সংগ্রহ করে লগ্নি করা ও সর্বাত্মকভাবে জামাত–শিবিরকে সহায়তা করেছে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। এর সাথে নিজেদের ভূ–রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় যুক্ত হয়েছে আমেরিকান ডিপস্টেট। বাংলা একটি প্রবাদ আছে, “দশচক্রে ভগবান ভূত“। হয়েছও তাই। জামাত–শিবির এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও বিদেশি অর্থায়নে গড়ে ওঠা একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা–আইএসআই, আমেরিকান ডিপোস্টেড, দেশীয় বিভিন্ন স্বার্থন্বেষী মহল এছাড়াও শেখ হাসিনা সরকারের সময় বিভিন্ন অপরাধের কারণে চাপে থাকা অপরাধীচক্র তাদের দীর্ঘ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনার মত একজন সাহসী, দেশ প্রেমিক, গণতন্ত্রকামী নেতা ও প্রধানমন্ত্রীকে চক্রান্তের মাধ্যমে স্বৈরাচার হিসেবে অভিহিত করতে সফল হয়েছে। এক্ষেত্রে স্বীকার করতেই হবে, ১৬ বছর সরকারে থাকার কারণে দুর্বল দলীয় কাঠামো ও অসংখ্য অনুপ্রবেশকারী, দুর্নীতি পরায়ন, সুযোগ–সন্ধানী আমলাগন, দল ও সরকারের অভ্যন্তরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ এবং শেখ হাসিনার পরিবারের গুটিকয়েক সদস্য ও দলীয় কিছু সিনিয়র নেতাদের নৈতিক স্খলনের সুযোগে তাদের সাথে আতাতকারি ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী ব্যক্তিবর্গ এই ষড়যন্ত্রকে সফল করার ক্ষেত্রে বিশেষ এবং সবিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। যা হবার তাই হয়েছে। আল বদরদের সাথে চক্রান্ত করে লাল বদররা হাত মিলিয়েছে। সেই চক্রান্তে পা দিয়েছে একদল লাল বলদ। চক্রান্ত সফল, সফল হয়েছে ষড়যন্ত্রের আন্দোলন। ২০২৪ এর আল বদরদের সাথে লাল বদরদের চক্রান্ত সফলভাবে মোকাবেলা করতেছিল শেখ হাসিনা সরকার। কিন্তু লাল বলদরা যখন এই চক্রান্তের অংশ হয়ে যায়, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার এই বলদদের উপর আর কঠোর হতে পারেননি। এ সকল বলদদের প্রাণহানি ঠেকাতেই তিনি কিছু হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন, ব্যর্থ হয় সরকার আর সফল হয় ষড়যন্ত্রের আন্দোলন। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বিগত পাঁচ দশক ধরে জামাত শিবির ও তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা জঙ্গিগোষ্ঠী এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তথা রাষ্ট্র পাকিস্তান এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আসছে। এই চক্রান্তকারী গোষ্ঠীর হাতে ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট, ২০০৪ এর ২১ আগস্ট সহ অসংখ্য বর্বরতার শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই এই জঙ্গিদের নির্মমতা ও বর্বরতা একই সাথে অক্ষমতা সম্বন্ধে শেখ হাসিনার স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। এ কারণে তিনি রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বেকুবের মত জঙ্গিদের হাতে প্রাণ না দিয়ে সরকারি প্রটোকলে পার্শ্ববর্তী দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন ফিরে আসার প্রত্যয়ে। এবং দলীয় নেতাকর্মীদেরও আপাতত কৌশলগত অবস্থান নিয়ে আত্মগোপনে যেতে বলেছিলেন। যারা বলেন শেখ হাসিনা পালিয়েছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলবো– “ভয় নাই বীরের আর বেকুবের।” শেখ হাসিনা একদল জঙ্গির হাতে অকারণে প্রাণ না দিয়ে রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করেছেন। এটাকে পালিয়ে যাওয়া বলে না। রাজনীতিতে এটি একটি কৌশলগত অবস্থান। যারা আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপি‘র তুলনা করেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও গত ৪/৫ দিনে আওয়ামী লীগ ঢাকাসহ সারা দেশে যতগুলো মিছিল করেছে, বিএনপি গত ১৫ বছরেও এরকম একটি মিছিল করতে পারেনি। কিন্তু তারা চোরাগুপ্তা হামলা করে বাসে–গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের যেহেতু এত বড় বড় মিছিল করার সক্ষমতা আছে তারা চাইলেও বাসে–গাড়িতে আগুন দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারত। কিন্তু তারা সেই সহজ পথ বেছে না নিয়ে, বেছে নিয়েছে কঠিন রাজপথ। বর্তমানে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কথা বল হাস্যকর। কারণ তাই নিয়ে কথা বলা যায়, যা বিদ্যমান আছে। কিন্তু যা পৃথিবীতে বিদ্যমান নেই, যেমন–ঘোড়ার ডিম, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে না। দেশে যদি ন্যূনতম আইন–শৃঙ্খলা ও ন্যায় বিচারের সম্ভাবনা থাকতো তাহলে শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলা যায়, শেখ হাসিনাসহ দেশে ও বিদেশে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের অধিকাংশই এরই মধ্যে প্রকাশ্যে ফিরে আসতো। আর এ কারণেই ষড়যন্ত্রের সরকার আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাই লাল বলদদের উদ্দেশ্যে বলবো, আল বদর আর লাল বদরদের সাথে মিলেমিশে সারাদিন আওয়ামী লীগ পালিয়েছে, আওয়ামী লীগ পালিয়েছে… এই জপমন্ত্র উচ্চারণ না করে দেশের আইন–শৃঙ্খলা ও বিচার ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলুন। দেশে যদি ন্যূনতম আইনশৃঙ্খলা ও বিচার ব্যবস্থা ফিরে আসে তখন দেখবেন আপনাদের ভাগ্য উন্নয়নে আওয়ামী লীগ কি প্রচন্ডভাবে পুনরায় ফিরে আসে। আর যদি তা না পারেন, তাহলে প্রস্তুত থাকুন এই আইনশৃঙ্খলা হীন দেশে আপনি নিজেই আক্রান্ত হবেন এবং কোন বিচার পাবেন না। মনে রাখবেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, শেখ মুজিব মানেই স্বাধীনতা। এই আল বদর আর লাল বদর রাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ কে হত্যা করেছে, স্বাধীনতাকে ধ্বংস করেছে। এদেশের স্বাধীনতা যতবার আক্রান্ত হয়েছে, ততবারই স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অগ্রভাগে নেতৃত্বে ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ২৪ এর চক্রান্তে পড়ে আজ আপনি শেখ হাসিনাকে ‘স্বৈরাচার‘ বলতেই পারেন! কিন্তু মনে রাখবেন, ৭৫ থেকে ৯০ পর্যন্ত দীর্ঘ সামরিক শাসনের পর বাংলাদেশের মানুষ যতবার তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছে প্রতিবারই সেই আন্দোলনেরও অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ৯০ এর আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সালে বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল, ভাত–ডালের আশায় বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা এখন আর সে কথা মুখে আনেন না। কিন্তু আপনারা ভুলে যাবেন না, ১৯৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিএনপি‘র ভোটারবিহীন নির্বাচন বানচাল করে ৯৬ এর ১২ জুন জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। মনে রাখবেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কেবলমাত্র একবারই শান্তিপূর্ণভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে ২০০১ সালে জনগণকে সুষ্ঠু ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর ২০০৬ সালে একতরফা নির্বাচন করার আশায় বিএনপি সংবিধান পর্যন্ত সংস্কার করেছিল। দলীয় বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ন সরকারের প্রধান করার যে স্বপ্ন তারা দেখেছিল তা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ আন্দোলনে নষ্ট হয়ে যায়। তারপরও তারা দলীয় রাষ্ট্রপতির অধীনে একতরফা নির্বাচন করার চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগ তখনও জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় আন্দোলন চালিয়ে যায়। বিএনপির এই দীর্ঘ চক্রান্তের ফলে দেশে ১/১১ এর সেনা সমর্থিত সরকার গঠিত হয়। সেই সরকারের মাইনাস টু ফর্মুলাও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে ব্যর্থ হয়। তারপর জনগণের আকাঙ্ক্ষার ইশতেহার দেয় আওয়ামী লীগ । আওয়ামী লীগের ডিজিটাল বাংলাদেশ, পদ্মা সেতু, উন্নয়নের ভিশন ২০২১ সহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এর ইশতেহার কে সমর্থন করে জনগণ। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জনগণের সফল ভোট অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী জনগণের সরকার গঠন করে শেখ হাসিনা তথা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করতে গিয়ে সেই আল বদর ও লাল বদরদের এবং পাকিস্তানি আইএসআই এর চক্রান্তের সাথে যুক্ত হয় দেশি–বিদেশী চক্র। এই চক্রের চক্রান্তের হাত থেকে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করতে এবং ২০০৮ এর নির্বাচনী ইশতিহার অনুযায়ী উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনাকে অনেক কৌশল অবলম্বন করতে হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার কারণে বিএনপি‘র যে নৈতিক দুর্বলতা তার কারণে বিএনপি বরাবরের মতোই বাংলাদেশের পক্ষে না থেকে আল বদর ও লাল বদরদের পক্ষে অবস্থান নেয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র সত্যিই একটি ঝুঁকিপূর্ণ মোড়ে এসে থমকে দাঁড়ায়। এই মোড়ে এসে প্রচন্ড প্রতাপশালী, দেশ প্রেমিক, গণতন্ত্রকামী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দেশি–বিদেশী চক্রান্তের হাত থেকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা, এবং দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কৌশল অবলম্বন করেন। চক্রান্তকারীদের প্রতিহত করতে শেখ হাসিনা দৃঢ়তা প্রদর্শন করলেও কৌশলগতভাবে সরকার দুর্বল হয়ে পড়ে। এই দুর্বলতার সুযোগ নেয় সবাই। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের মধ্যে ঢুকে পড়া নীতিহীন ও অন্য দলের অনুপ্রবেশকারী, দুর্নীতি পরায়ন সুযোগ–সন্ধানী আমলারা, দল ও সরকারের অভ্যন্তরে অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের এবং শেখ হাসিনার পরিবারের গুটিকয়েক সদস্য ও দলীয় কিছু সিনিয়র নেতাদের সাথে আতাতকারি ব্যবসায়ী সকলেই এর সুযোগ লুফে নেয়। কিন্তু তারপরও দেশের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে এবং আল বদর লাল বদরদের হাত থেকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে এক নিঃসঙ্গ সারথীর মতো লড়ে গিয়েছেন শেখ হাসিনা একাই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করেছেন, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু এত সুযোগ সন্ধানীর ভিড়ে তিনি শেষ রক্ষা করতে পারেননি। আল বদরদের সাথে লাল বদরদের সম্পর্ক অনেক পুরাতন। কিন্তু দলের অভ্যন্তরের অনুপ্রবেশকারীরা যখন “ঘরের শত্রু বিভীষণ” হয়ে ওঠে তখন “দশচক্রের ভগবান ভূত” হয়ে যান। এই একদল চক্রান্তকারী ভিলেনের ষড়যন্ত্রে শেখ হাসিনা আজ স্বৈরাচার বা এক নায়ক। যদি তাই হয় তাহলে আমি বলবো, “একদল ভিলেন” এর শাসনের চেয়ে আমার কাছে একজন “এক নায়ক” এর শাসনই শ্রেয়। আমি প্লেটোর ভাষায় তাকে ভালোবেসে “বেনিভলেন্ট ডিক্টেটর” বলতে চাই। সেই আমার “আদর্শ রাজা“। যদি মানতে না চান তাহলে সকল ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান দেখুন। যদি মানতে না চান তাহলে ২০০৮ সালের আগে ২০২৪ সালের আগে এবং ২০২৫ সালের সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কি তা একবার কান পেতে শুনুন। তারপর সিদ্ধান্ত আপনার। একবার ভুল করেছেন? ভুল ট্রেনে উঠে পড়েছেন? যদি আপনি বন্ধু হন তাহলে, ভয় নেই বন্ধু। দ্রুত নেমে পড়ুন। যত নিকটবর্তী স্টেশনে নামবেন ফেরার পথ তত কম দুর্গম হবে। আপনাদের সাথে নিয়েই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করব। ইউনুসের নেতৃত্বে দেশের কাঁধে চেপে থাকা “একদল ভিলেন“কে দেশছাড়া করে দেশকে পুনরায় গণতন্ত্রের ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাব আমরাই। ইনশাআল্লাহ, আমরা করবো জয় একদিন। কিন্তু সেই দিনটি কতদূর তা নির্ধারণ করতে পারেন আপনারাই। আপনারা যদি জেগে ওঠেন আমরাও লেগে থাকবো– দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। জয় হোক দেশ প্রেমিক প্রতিটি মানুষের।