সাবজির দাম দ্বিগুণের বেশি, সংসার চালাতে নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস

৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৮:৫৮ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , ডোনেট বাংলাদেশ

রাজধানীর বাজারে নিত্যপণ্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সবজি ও মাছের দাম এতটাই বেড়েছে যে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে কারওয়ানবাজার, রামপুরা ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজারে বেশ কয়েকটি সবজির কেজিপ্রতি দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কিছু কিছু সবজিতে ১৫ দিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ দাম হয়ে গেছে। শুক্রবার সকালে কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা গেছে—বেগুন ৬০-৮০ টাকা, টমেটো ১১০-১২০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ঢেড়স ৮০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, কচুমুখী ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা এবং পেঁপে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটি ১০০-১২০ টাকা, গাজর ৭০-৯০ টাকা, ঝিঙে ৫০-৬০ টাকা, শিম ১৮০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, আলু ২৫ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রামপুরা ও মধ্যবাড্ডা বাজারে দাম আরও বেশি। সেখানে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়, করলা ১০০ টাকা, ঢেড়স ৮০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, কচুমুখী ৬০ টাকা, শসা ৬০-৯০ টাকা এবং পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে। কারওয়ানবাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আহমদ উল্লাহjবলেন, “প্রতিদিন এখানে আসি তুলনামূলক কম দামের আশায়। কিন্তু দাম এত বেড়েছে যে সংসার চালানোই মুশকিল হয়ে গেছে।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া নিগার সুলতানা বলেন, “প্রতিবার বাজারে এসে দেখি আগের চেয়ে দাম বাড়ছে। ছোট পরিবারে খরচ সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।” রিকশাচালক মতিউর রহমানের অভিজ্ঞতা আরও কষ্টের। তিনি বলেন, “সবজির দাম এত বেড়েছে যে এখন শুধু দরকারি জিনিসপত্রই কিনতে পারি। পুরো বাজার করার সামর্থ্য নেই।” সবজি বিক্রেতারা জানান, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে মাঠে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে। কারওয়ানবাজারের এক বিক্রেতা বলেন, “কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। বিক্রি কম হলেও দামে টিকে আছি।” মাছের বাজারেও দাম কমেনি। চাষের রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪৫০ টাকায়, কাতল ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২৩৫ টাকা এবং পাবদা-শিং ৪০০-৫০০ টাকায়। তবে মুরগি, গরুর মাংস ও ডিমের বাজার তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, সোনালি ২৯০-৩২০ টাকা, লাল লেয়ার ৩২০ টাকা, সাদা কক ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬০০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস মিলছে ৭৬০-৮০০ টাকায়। লাল ডিম ডজনপ্রতি ১৪০ টাকা, সাদা ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ২৪০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ২৩৫ টাকা।